নতুন নিয়ে গবেষণাটি শুরু হয়েছিলইঙ্গিত করে যে, পৃথিবীতে জীবিত কোষের সংখ্যা মহাবিশ্বের বালির দানা এবং তারার সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে। গবেষকরা অনুমান করেছেন যে পৃথিবীতে বালির দানার চেয়ে এক ট্রিলিয়ন গুণ বেশি কোষ রয়েছে এবং মহাবিশ্বে নক্ষত্রের চেয়ে এক মিলিয়ন গুণ বেশি কোষ রয়েছে। এই গবেষণা আমাদের গ্রহের জৈবিক বৈচিত্র্যের দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে এবং ভবিষ্যতে কীভাবে জীবিত কোষ কার্বন ব্যবহার করবে তা বুঝতে সহায়তা করতে পারে।
আমাদের চারপাশের বিশ্বকে বোঝার জন্য বিজ্ঞানীদের এ রির্সাচ অপরিহার্য। কার্লেটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতাত্ত্বিক পিটার ক্রকফোর্ড এই গবেষণার নেতৃত্ব দেন। বর্তমানে জীবিত কোষের সংখ্যা নির্ণয় করার জন্য, সমুদ্র, মাটি এবং পৃথিবীর পৃষ্ঠতলের জীবাণুর সংখ্যা নিয়ে গবেষণাটি শুরু হয়েছিল। বৃহত্তর জীবের কোষের সংখ্যা নিয়েও গবেষণা হয়েছে।
এই গবেষণায় কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2) কে কার্বন-ভিত্তিক যৌগগুলিতে রূপান্তরের প্রক্রিয়া করা হয় যা জীবন বজায় রাখে। এই যৌগগুলি, যেমন শর্করা এবং স্টার্চ খাদ্য শৃঙ্খলের সাথে সর্ম্পকিত। সালোকসংশ্লেষণকারী জীবাণু এবং গাছ অন্যান্য জীব দ্বারা গ্রাস করা হয়। জীব মারা যায়, পচে যায় এবং CO2 বায়ুমণ্ডলে ফিরে আসে, কার্বন চক্র সম্পূর্ণ করে।
পৃথিবীর ইতিহাসে এ প্রক্রিয়া কীভাবে বিকশিত হয়েছে তা বোঝার জন্য, গবেষকরা বিশ্লেষণ করেছেন, যেমন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সময়ে সালোকসংশ্লেষণকারী জীবের সংখ্যা এবং প্রকার, সেইসাথে তাদের উত্পাদিত খাদ্যের পরিমাণ। তারা বিভিন্ন জীবের উত্থান এবং তাদের কার্যকলাপের উপর বরফ যুগের প্রভাবের মতো কারণগুলি বিবেচনা করেছেন।
গবেষণাটি প্রকাশ করে যে, সময়ের সাথে সাথে, পৃথিবীর কোষের সংখ্যা প্রায় 100 বার গ্রহের সমস্ত কার্বনের মাধ্যমে চক্রাকারে চলে গেছে। ফলাফলে বিজ্ঞানীদের প্রকাশ করা সংখ্যা বেশ যুক্তিসঙ্গত এবং বাস্তবসম্মত হিসাবে দেখা হয় যা পৃথিবীতে জীবন সর্ম্পকে নতুন পার্সপেক্টিভ প্রদান করে। গবেষণায় ভবিষ্যৎ সর্ম্পকে বলা হয়েছে যে, CO2 স্তরের পরিবর্তন পৃথিবীর পরিবেশ ও জীবনের উপর কেমন প্রভাব ফেলে। সম্ভবত দূরবর্তী ভবিষ্যৎ এ জৈববস্তুর হ্রাস সহ আমূল পরিবর্তন পৃথিবীতে দেখা যেতে পারে। যদিও এসব অনুমান সর্ম্পকে সময়ের সাথে সাথে নিশ্চিত হওয়া যাবে। গবেষণাটি পৃথিবীতে জীবনের বিকাশ এবং এর সম্ভাব্য ভবিষ্যত গতিপথ বোঝার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসাবে কাজ করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।