জুমবাংলা ডেস্ক : বগুড়ার শাজাহানপুরে মাদ্রাসার নৈশপ্রহরীর দায়িত্বে থাকা জয়নাল আবেদীন (৭০) নামে এক বৃদ্ধকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় তানভিরুল ইসলাম (২২) নামের কথিত এক সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার বিকেলে বগুড়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারক্তিমূলক জবাববন্দি দিয়েছেন তানভির। পরে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। এর আগে শুক্রবার বিকেল থেকেই পুলিশের নজরদারিতে ছিলেন তিনি।
গ্রেপ্তারকৃত তানভীর শাজাহানপর উপজেলার সুজাবাদ উত্তরপাড়া গ্রামের এনামুল হক মিঠুর ছেলে। তানভীর নিজেকে ‘মাতৃভূমির খবর’ নামক একটি ‘অনলাইন পত্রিকা’র সাংবাদিক বলে পরিচয় দেয়। এছাড়াও তিনি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে পার্টটাইম চাকরি করে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
অন্যদিকে নিহত জয়নাল একই গ্রামের মীর বক্তারের ছেলে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জয়নালের ছেলে আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় একটি মামলা করেন।
নিহত জয়নালের ছেলে আবুল কাশেম সুজাবাদ উত্তরপাড়া দাখিল মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনায় আবুল কাশেম শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েন। এরপর থেকে বাবা-ছেলে মিলে নৈশপ্রহরীর দায়িত্ব পালন করতেন। বৃহস্পতিবার রাতেও মাদ্রাসার দায়িত্ব পালনে যান জয়নাল। রাতে মাদ্রাসার কক্ষে ঢুকে তাকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। পরদিন (শুক্রবার) সকালে তার ছেলে আবুল কাশেম খোঁজ করতে এসে মাদ্রাসার শ্রেণিকক্ষে বাবার গলাকাটা লাশ দেখতে পান।
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় তানভীর বাড়ির পাশে উত্তরপাড়া দাখিল মাদ্রাসার ভেতর গাঁজা সেবন করতে যায়। মাদ্রাসার একটি শ্রেণিকক্ষে গাঁজা সেবন করছিল তানভীর। এ সময় নৈশপ্রহরীর দায়িত্বে থাকা জয়নাল তাকে গাঁজা সেবন করতে নিষধ করেন। ফলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে জয়নাল ক্ষিপ্ত হয়ে তানভীরকে চড়-থাপ্পর মারেন। এতে তানভীর রেগে গিয়ে তার পকেটে থাকা ধারালো বার্মিজ চাকু বের করে জয়নালের পেটে ও গলায় এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে খুন করেন।
মামলা তদন্ত কর্মকর্তা শাজাহানপুর ধানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শামীম হোসেন এ বলেন, আদালতে স্বীকারক্তিমূলক জবানবন্দি শেষে তানভীরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel