জুমবাংলা ডেস্ক: রেললাইনের ওপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হওয়ায় জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ ও গাইবান্ধা হয়ে বগুড়া-সান্তাহারগামী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
বুধবার সকাল ১১টার দিকে ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করলে গাইবান্ধা ও বোনারপাড়া স্টেশনে পাঁচটি যাত্রীবাহী ট্রেন আটকা পড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
গাইবান্ধায় বুধবার ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ১৪৬ সেন্টিমিটার এবং ঘাঘট নদীর পানি ৯০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। লালমনিরহাট-সান্তাহার ডিভিশনের গাইবান্ধার ত্রিমোহিনী রেলস্টেশন থেকে বোনারপাড়া জংশন পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে রেললাইন ডুবে যাওয়ায় এ দিন সকাল ১১টা থেকে ওই রুটে সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে এখন থেকে ডাউন ট্রেনগুলো গাইবান্ধা রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত এবং আপ ট্রেনগুলো বোনারপাড়া পর্যন্ত চলাচল করছে।
তবে আন্তঃনগর লালমনি এপপ্রেস ও রংপুর এপপ্রেস ট্রেন বিকল্প পথ রংপুর-পার্বতীপুর-সান্তাহার হয়ে ঢাকায় চলাচল করবে। এদিকে, গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ সড়কের কদমের তল থেকে চাপাদহ পর্যন্ত এবং গাইবান্ধা-ফুলছড়ি-সাঘাটা সড়কের বেশকিছু এলাকায় হাঁটুপানি থাকায় সেগুলোতে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
জামালপুরে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এতে জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ, সরিষাবাড়ি, মাদারগঞ্জ ও মেলান্দহ উপজেলার ৫২টি ইউনিয়নের অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
যমুনার পানি গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বুধবার সকালে বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ১৬১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছিল। এতে রেললাইন তলিয়ে যাওয়ায় জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। পানির তোড়ে রাস্তা ভেঙে ইসলামপুর-গুঠাইল, কুলকান্দি, উলিয়া এবং মেলান্দহ-মাহমুদপুরের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মাদারগঞ্জের চর নাদাগাড়ীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে নতুন করে ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।