জুমবাংলা ডেস্ক : হুমকির মুখে পড়েছে গাইবান্ধা শহর রক্ষা বাঁধের প্রায় দুই কিলোমিটার অংশ। বৃষ্টিতে বাঁধের প্রায় ৩০টি পয়েন্টে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও ধসে গেছে বাঁধের গোড়াসহ ৮ থেকে ১০ ফুট পর্যন্ত। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন শহরবাসী।
বুধবার (১০ জুলাই) পানি কমে বিপদসীমার ১৪ কিলোমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ঘাঘট নদীর পানি। তবে গত এক সপ্তাহে টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে শহরের নতুন ব্রিজ থেকে পূর্ব কোমরনই কুঠিপাড়া, ডেভিট কোম্পানি পাড়া, বাইরবন এলাকার শহর রক্ষা বাঁধের প্রায় ৩০টি জায়গায় ছোট-বড় গর্ত ও মাটি ধসে বড় বড় খাদের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও ধসে গেছে বাঁধের গোড়াসহ ৮ থেকে ১০ ফুট পর্যন্ত। এতে বাঁধের ওই সব অংশ হয়ে পড়েছে ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোনো সময় বাঁধের এসব অংশ ভেঙে ভেসে যেতে পারে বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট, ফসলি জমিসহ গাইবান্ধা জেলা শহর।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বর্ষা শুরুর পর থেকে একাধিকবার যোগাযোগ করেও এসব অংশ মেরামতের কোনো উদ্দ্যোগ নিচ্ছে না পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রতি বছর বর্ষা এলেই তড়িঘড়ি করে করা হয় মেরামত। পানি বাড়তে থাকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তারা।
ঘাঘট নদীপাড়ের বাসিন্দা জুয়েল মিয়া জানান, প্রতি বছর বর্ষা এলেই বাঁধের এমন দশা হয়। শুকনো মৌসুমে এসব মেরামত করা হলে এখন এ অবস্থা হতো না।
স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম জানান, দ্রুত বাঁধ সংস্কার করা না হলে যে কোনো মুহূর্ত্বে বাঁধ ধসে শহর প্লাবিত হতে পারে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক জানান, বৃষ্টির কারণে বাঁধে সৃষ্টি হওয়া গর্তের মেরামতে কাজ চলছে। বাঁধে আরও কোনো সমস্যা আছে কিনা তা দেখার জন্য মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে।
ঘাঘট নদীর গাইবান্ধা শহর রক্ষা বাঁধের দুই কিলোমিটার এলাকার প্রায় ৩০টি পয়েন্ট ধসে এসব গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গেল ২০১৯ সালের বন্যায় শহর রক্ষা বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় জেলা শহর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।