গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে প্রস্তাবিত রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) ‘রংপুর ইপিজেড’ নামে নামকরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রথম সমন্বয় সভায় এই নামকরণের প্রস্তাব গৃহীত হয়।
বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সাইদ, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মেহেদী হাসান, রংপুর সুগার মিলের এমডি মো: নুরুল কবির, আওয়ামী লীগ নেতা ও কলামিষ্ট এএএম আলতামাসুল প্রধান শিল্পি, সাপমারা ইউপি চেয়ারম্যান শাকিল আহম্মেদ বুলবুলসহ বেপজার কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, প্রস্তাবিত এই ইপিজেডের নাম ‘রংপুর ইপিজেড’ করায় খুশি গোবিন্দগঞ্জবাসী। অনেকেই এই নামকরণকে স্বাগত জানিয়ে প্রস্তাবিত ইপিজেডের ছবিসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আলতামাসুল শিল্পি জানান, সমন্বয় সভায় ইপিজেড স্থাপন সম্পর্কে বিশদ আলোচনা হয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জে অবস্থিত রংপুর চিনিকলের সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্মের ১ হাজার ৮৪২ একর জমির ওপর আগামী বছরের জানুয়ারিতে এই ইপিজেড স্থাপনের কাজ শুরু করবে বেপজা।
রংপুর ও বগুড়ার মধ্যবর্তী এই স্থানে ইপিজেড স্থাপন হলে রংপুর এবং বগুড়া অঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠীর জীবনমানের আমূল পরিবর্তন ঘটবে। এই ইপিজেডে দুই লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন বেপজা ১৯৮০ সালে গঠনের পর শুরু হয় ইপিজেড প্রতিষ্ঠার কাজ। চট্টগ্রাম ইপিজেড দিয়েই সেটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। চট্টগ্রাম ইপিজেড প্রতিষ্ঠার ১০ বছর পর ১৯৯৩ সালে এসে গড়ে ওঠে ঢাকা ইপিজেড। এরপর পর্যায়ক্রমে ১৯৯৯ সালে মংলা, ২০০০ সালে কুমিল্লা, ২০০১ সালে ঈশ্বরদী ও নীলফামারীতে উত্তরা, ২০০৬ সালে নারায়ণগঞ্জে আদমজী ও চট্টগ্রামে কর্ণফুলী ইপিজেডের যাত্রা শুরু হয়। চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে নবম এবং বৃহৎ ইপিজেড স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে স্থাপিত ইপিজেড হবে দেশের দশম ইপিজেড।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।