নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই)—এর “ফার্ম মেশিনারি অ্যান্ড পোস্টহারভেস্ট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ”—এর অধীন “ফসল উৎপাদন ব্যবস্থাকে অধিকতর লাভজনককরণ (এফএমডিপি)” প্রকল্পের অর্থায়নে এবং গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গাকৃবি) সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হলো এক বিশেষ সেমিনার ও কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শনী মেলা।
রোববার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ দিনকে ঘিরে তিনটি ইভেন্টের মধ্যে ছিল পোস্টার প্রদর্শনী, সেমিনার এবং বিএআরই কর্তৃক উদ্ভাবিত কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শনীর সেশন। শুরুতে সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন অডিটোরিয়ামে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে বিএআরআই এর অবদান নিয়ে একটি তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক (এফএমডিপি) ড. মো. নূরুল আমিন। সেমিনারে গাকৃবির উপাচার্য প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। গেস্ট অব অনার ছিলেন প্রো—ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. ময়নুল হক এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. সফিউল ইসলাম আফ্রাদ, এগ্রিকালচারাল এন্ড বায়োরিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং এর ডিন প্রফেসর ড. মোঃ এমদাদুল হক ও পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল আলম। সেমিনারে কী—নোট স্পিকার ছিলেন বিএআরআই—এর ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ এরশাদুল হক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএআরআই—এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আশরাফুজ্জামান গোলন্দাজসহ গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ২০০ জন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃৃন্দ।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. মোহাম্মদ এরশাদুল হক। উপস্থাপনায় তিনি বাংলাদেশে মেকানিজম এবং শ্রমিক সম্পদ নিয়ে তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি বিএআরআই কর্তৃক উদ্ভাবিত কৃষি যন্ত্রপাতির পরিচিতি ও ব্যবহার নিয়ে ভিডিওসহ তথ্য প্রদর্শন করেন। পরে বিএআরআই উদ্ভাবিত আধুনিক কৃষি যন্ত্রসমূহ কীভাবে কৃষকের সময়, খরচ ও শ্রম বাঁচিয়ে কৃষিকে আরও লাভজনক ও টেকসই করে তুলছে তার উপর বক্তারা বক্তব্য রাখেন।
সেমিনারের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে “ফার্ম মেকানাইজেশন আইডিয়া কম্পিটিশন” অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষার্থীরা কৃষির আধুনিকায়ন ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের আলোকে ৬টি উদ্ভাবনী পোস্টার উপস্থাপন করেন। সেরা ৩টি আইডিয়া প্রদানকারীদের যথাক্রমে ১৫ হাজার, ১০ হাজার ও ৫ হাজার টাকা পুরস্কার এবং সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
শেষে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান বক্তব্যে বলেন, “কৃষি যান্ত্রিকীকরণ শুধু প্রযুক্তির প্রয়োগ নয়, এটি কৃষকের মুখে হাসি ফোটানোর একটি আধুনিক পথ। বিএআরআই এই যাত্রায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।” গাকৃবির শিক্ষার্থীরাও যাতে গবেষণায় যথাযথ অংশগ্রহণের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কৃষি সেবায় নিয়োজিত রাখতে পারে সে প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন উপাচার্য।
সভাপতি তাঁর সমাপনী বক্তব্যে জানান, ‘‘বিএআরআই ইতোমধ্যে ৫৫ প্রকার কৃষি যন্ত্র উদ্ভাবন করেছে এবং তা সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অগ্রণী ভূমিকা আশা করা হচ্ছে’’।
সেমিনার শেষে উপাচার্য বিএআরআই থেকে আগত বৈজ্ঞানিকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতিতে বিএআরআই উদ্ভাবিত কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শনী মেলার শুভ উদ্বোধন করেন ও মেলা পরিদর্শন করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।