গাজায় ত্রাণ প্রবেশে ইসরায়েলের বাধা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজায় একের পর এক অমানবিক আচরণ করছে ইসরায়েল। দেশটির বিরুদ্ধে এবার গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি আন্দোলনকারীরা গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। তারা কারেম আবু সালেম সীমান্তে ব্যারিকেড তৈরি করেছে।

মঙ্গলবার ইসরায়েলি সংবাদামাধ্যম চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, ইসরায়েলিদের বাধার কারণে সীমান্তে ১৩২টি ত্রাণবাহী ট্রাক আটকা পড়েছে।

ইসরায়েলি আন্দোলনকারীদের দাবি, জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত তারা সেন্ট্রাল গাজায় যে কোনো ধরনের ত্রাণের ট্রাক প্রবেশ করতে দিবে না। এজন্য তারা সম্প্রতি আশদোদ বন্দরসহ বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলন করে আসছে।

এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে জোরেশোরে আলোচনা চলছে। এমনকি যুদ্ধবিরতির আলোচনা নিয়ে নিজেদের মূল্যায়ন জমা দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। তবে সে আলোচনাও অবার ফাঁস হয়ে গেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, হামাসের প্রস্তাবনায় এ ধাপে ৪৫ দিন করে তিন স্তরের যুদ্ধবিরিতির প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে তিন ধাপে মোট ১৩৫ দিনের যুদ্ধবিরতি হবে। গত সপ্তাহে কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় ও যুক্তরাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় এ নিয়ে আলোচনা হয়।

প্রস্তাবানুসারে যুদ্ধবিরতির সময় উভয়ের মধ্যে বন্দি বিনিময়, গাজাকে পুনর্গঠনের কাজ, উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের সৈন্যদের সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার এবং মরদেহ আদান-প্রদান করা হবে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি চলাকালে ইসরায়েলের নারী জিম্মি, ১৯ বছরের নিচের পুরুষ এবং বৃদ্ধ ও অসুস্থদের মুক্তি দেবে ফিলিস্তিন। এর বিপরীতে ইসরায়েলের কারাগার থেকে ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুরা মুক্তি পাবেন।

দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি চলাকালে বাকি থাকা সব পুরুষ জিম্মিকে মুক্তি এবং তৃতীয় ধাপে মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে। এভাবে করে তৃতীয় ধাপে উভয় দেশ যুদ্ধ শেষ করার ব্যাপারে সম্মত হতে পারে।

রাস্তায় জমা পানি পান ফিলিস্তিনি শিশুর