জুমবাংলা ডেস্ক : দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে পশ্চিম তীরে গাজা উপত্যকার সব সীমান্ত বন্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল। সীমান্তে এই অবস্থা বন্ধে ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে দাবি ও প্রতিবাদ করা হলেও আরো কঠোর ভূমিকায় নেমে আসে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। এর ফলে গাজার অর্থনীতি ও জনমানুষের জীবনযাপনকে কঠিন থেকে কঠিনতর হয়েছে।
আল জাজিরার বরাতে জানা যায়, গত কিছু দিন ধরে ফের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার পরিমাণ বেড়ে গেছে। ইসরায়েলি সেনাদের দাবি, বেলুনে গ্যাস ভরে গাজা থেকে ইসরায়েলে হামলা করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদেই ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের ঘাঁটিতে হামলা চালানো হচ্ছে।
বেলুন হামলার প্রতিবাদে টানা ১৬ দিন ধরে গাজার অবকাঠামো, কৃষিজমিতে রকেট হামলা পরিচালনা করছে ইসরায়েল। তবে এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
গত দুই বছরে গাজায় অবস্থানরত ফিলিস্তিনি নেতৃত্বের সঙ্গে বেশ কয়েকটি চুক্তি করেছে ইসরায়েল। এসব চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছে মিশর, কাতার ও জাতিসংঘ। কিন্তু কোনো চুক্তিতেই আশানুরূপ ফল পায়নি গাজার মানুষ।
ফিলিস্তিন নেতৃত্বর পক্ষ থেকে সীমান্ত খুলে দেয়ার দাবি করা হলেও এতে পাত্তা দিচ্ছে না ইসরায়েল। ফিলিস্তিন নেতৃত্বের দাবি, ইসরায়েল বরাবরই বিষয়টিকে এড়িয়ে চলছে। তারা এ নিয়ে কোনো আলোচনাই করতে চায় না। উল্টো আমরা কোনো দাবি তুললে তারা কঠোরতা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়।
গাজা উপত্যকায় হামলার পাশাপাশি গত সপ্তাহে সেখানে পণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেয় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। সরকারি ও বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে দেয়া এক নির্দেশনায় বলা হয়, ওষুধ ও খাদ্য সামগ্রী বাদে অন্যান্য কোনো পণ্য গাজায় পাঠানো যাবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।