আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার জন্য সংগৃহীত ট্যাক্সের টাকা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর পরিবর্তে নরওয়েতে পাঠানোর পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে ইসরায়েল।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জব্দ করা অর্থ ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে না। তবে এই অর্থ তৃতীয় কোনো দেশের হাতে থাকবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রীর অনুমোদন ছাড়া এই অর্থ কোনো অবস্থাতেই স্থানান্তর করা যাবে না। এমনকি কোনো তৃতীয় পক্ষও তা করতে পারবে না।
১৯৯০-এর দশকের একটি চুক্তি অনুসারে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ট্যাক্স সংগ্রহ করে ইসরায়েল। এরপর ইসরায়েলি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট হারে সেই অর্থ অধিকৃত পশ্চিম তীরের শাসক ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে ইসরায়েল।
২০০৭ সালে গাজা থেকে বিতাড়িত হয় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। সরকার থেকে বিদায় নিলেও তখনকার অনেক সরকারি কর্মচারী চাকরিতে বহাল থাকেন। তাদের বেতন-ভাতা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ পরিশোধ করে আসছিল। তবে ৭ অক্টোবরের হামলার মাসখানেক পরে গাজার জন্য অর্থ দেওয়া বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল।
কিন্তু গাজার অর্থ কাটছাটের প্রতিবাদে আংশিক তহবিল নিতে অস্বীকৃতি জানায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সিনিয়র কর্মকর্তা হুসেন আল শেখ বলেছেন, আমাদের আর্থিক অধিকারে কাটছাট বা শর্ত আরোপ করা হলে তা আমরা মেনে নিব না। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাই যে ফিলিস্তিনি জনগণের অর্থ ডাকাতি ও চুরির বন্ধ করুন। ইসরায়েলকে আমাদের সব অর্থ হস্তান্তর করতে বাধ্য করুন।
বিয়ের আগেই বাসর রাত, বিছানায় সুখ পেলেই কেবল বিয়ে হয় যেখানে
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।