নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরে কোনাবাড়ীতে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাইফুর রহমান (৪১) ও মোছা. শাপলা বেগমকে (৩৫) নামের এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে কোনাবাড়ী থানায় মামলা করলে পুলিশ ওই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রংপুর জেলার হারাগাছ থানার সারাই দর্জ্জিপাড়া গ্রামের মৃত ছাইদুর রহমানের ছেলে ছাইফুর রহমান এবং তার স্ত্রী শাপলা বেগম। তারা উভয়ে কোনাবাড়ী জরুন নামাপাড়া এলাকায় আশরাফ আলীর টিনশেড বাসায় ভাড়া থাকতেন এবং স্থানীয় পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৮ মাস ধরে পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থেকে ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা-মা স্থানীয় গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। বিভিন্ন সময় ওই কিশোরীকে আপত্তিকর প্রস্তাব দিতেন ছাইফুর। বিভিন্ন সময় প্রলোভন দেখিয়ে শাপলা বেগমের সহায়তায় একটি বাসায় নিয়ে ওই কিশোরীর সঙ্গে খারাপ কাজ করতেন। বিষয়টি বাবা-মার কাছে বলে দিতে চাইলে কিশোরীকে ভয়ভীতি দেখাতেন তারা। গত ২৫ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে ওই কিশোরীকে বাসায় রেখে তার বাবা মা অফিসে যান। অফিস শেষে রাত ১০টার দিকে বাসায় আসেন তারা। ওইদিন রাত ৮ টার দিকে ওই কিশোরীকে ছাইফুর তার স্ত্রী শাপলার সহায়তায় ধর্ষণ করেন।
ভুক্তভোগী কিশোরীর বড় বোন জানান, অভাবের তাড়নায় আমরা ঢাকায় আসি। আমরা তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি ।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কাশেম বলেন, কোনাবাড়ি থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত দম্পতিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত প্রাথমিকভাবে কিশোরীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।