নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় কুকুরের উপদ্রব বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। গত সাতদিনে শিশুসহ অর্ধশতাধিক মানুষ কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন। তাদের অনেকেই টঙ্গী, গাজীপুর সদর ও রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্ক প্রতিষেধক না থাকায় কুকুরের কামড়ে আহতদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বাইরে থেকে প্রতিষেধক এনে প্রয়োগ করতে হয়েছে শরীরে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিষেধক না থাকায় কিছু অসাধু ওষুধ ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মূল্যে প্রতিষেধক বিক্রি করছেন বলেও অভিযোগ করেন তারা।
কালীগঞ্জের দুর্বাটি গ্রামের মোখলেস উদ্দিন জানান, গত ১৬ এপ্রিল বিকেলে তার দুই বছরের শিশু মাশরিফ বাড়ির উঠানে খেলছিল। এসময় কুকুর এসে তার সন্তানকে কামড়াতে শুরু করে। শিশুটিকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তিনি। সেখানে জলাতঙ্ক প্রতিষেধক নেই বলে জানানো হয়। পরে মাশরিফকে গাজীপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
একই গ্রামের বাসিন্দা জমির হোসেন ও ফুল মেহার জানান, একই দিন দুপুরে তারাও কুকুরের হামলার শিকার হন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, কালীগঞ্জ পৌরসভা ও আশপাশের সাতটি ইউনিয়নে ঘুরে বেড়াচ্ছে কুকুরের দল। পথচারী, যানবাহনের চালক এমনকি শিক্ষার্থীরাও কুকুরের আক্রমণের শিকার হচ্ছেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, “বেওয়ারিশ কুকুর নিধনে আইনি বাধা থাকায় আমরা ব্যবস্থা নিতে পারছি না। আগে কুকুর ধরার প্রকল্প ছিল, বর্তমানে তা বন্ধ রয়েছে।”
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রেজওয়ানা রশীদ বলেন, “বর্তমানে ডগ ভ্যাকসিন (কুকুরে কামড়ানো প্রতিষেধক) সরকারিভাবে বন্ধ। কুকুরে কামড়ানোর পর ক্ষতস্থান দ্রুত সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে ভ্যাকসিন নিতে হবে। আমাদের এখানে টিকা না থাকলেও বাইর থেকে এনে প্রয়োগ করা যায়।”
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তনিমা আফ্রাদ বলেন, “প্রাণী অধিকার রক্ষায় কুকুর নিধনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যেসব ব্যবসায়ীরা প্রতিষেধকের অতিরিক্ত দাম রাখেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।