নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুরে ‘ছেলের ওপর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে’ মনোয়ারা বেগম (৩৩) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার ছোট ছেলের চিৎকারে পরিবারের লোকজন বিষয়টি টের পান।
সোমবার (১৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের গলদাপাড়া গ্রামের মাইনুদ্দিন প্রধানের বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে সকাল ৬টায় নিজ ঘরের ভেতর ধর্ণার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেন তিনি।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কের পর প্রায় ১০ বছর আগে কাওরাইদ ইউনিয়নের বেলদিয়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের সঙ্গে একই ইউনিয়নের গলদাপাড়া গ্রামের মাইনুদ্দিন প্রধানের মেয়ে মনোয়ারা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে।
নিহতের বাবা মাইনুদ্দিন প্রধান বলেন, বেলদিয়া গ্রামের শরিফের সঙ্গে আমার মেয়েকে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেই। বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়েকে নির্যাতন করতো। গত তিন বছর আগে স্বামী-সন্তানসহ মেয়েকে আমার বাড়িতে এনে জায়গা দেই। মেয়ের জামাই ঠিকমতো ভরণপোষণ দিচ্ছিল না।
তিনি আরও বলেন, রোববার বিকেলে আমার বড় নাতিকে তার দাদার বাড়ির লোকজন গাছে বেঁধে নির্যাতন চালায়। এটা নিয়ে জামাই-মেয়ের মাঝে রাতে ঝগড়া হয়। নাতিডা তার মাকে ফোন করে বলছে, ‘আমারে বাঁচাও, তারা মাইরা ফালাইব।’ নিজের সন্তানের ওপর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতন সইতে না পেরে মেয়েটা আত্মহত্যা করেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুজন কুমার পণ্ডিত বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই নারী আত্মহত্যা করেছেন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।