নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরে কারখানার ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, হামলা, ভাঙচুর ও মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) সকালে মহানগরীর সালনায় পাকিস্তানি গার্মেন্টস নামে পরিচিত ইউটা গার্মেন্টসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নগরীর দক্ষিণ সালনায় অবস্থিত ইউটা গার্মেন্টসে দীর্ঘদিন ধরে ঝুট ব্যবসা করে আসছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল্লাহ কাজী। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর ওই ব্যবসা দখলে নিতে স্থানীয় বিএনপির একাধিক গ্রুপ বিভিন্ন সময়ে চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। সোমবার সকাল ৯টার দিকে ৫০-৬০টি মোটরসাইকেলে এসে বিএনপির দুটি গ্রুপ কারখানার সামনে জড়ো হয়ে মহড়া দিতে থাকে। খবর পেয়ে শহিদুল্লাহ কাজীর পক্ষ নেয় বিএনপির একটি গ্রুপ।
অপর অংশের লোকজন শহিদুল্লাহ কাজীর পক্ষের লোকদের ধাওয়া দেন। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে কারখানার সামনে থাকা ১৭টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
শহিদুল্লাহ কাজী বলেন, সকালে তিনি কারখানা থেকে ঝুট ট্রাকে করে বের করছিলেন। হঠাৎ একদল লোক অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেলে এসে কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে লাঠিসোটা হাতে মহড়া দেয়। কিছুক্ষণ পর স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে ধাওয়া দিয়ে তাদের তাড়িয়ে দেন।
তিনি আরও বলেন, ‘শুনেছি ১৫-২০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কারা এগুলো করেছে জানা নেই।’
এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মনজুরুল করিম রনি বলেন, বিএনপির কোনো নেতাকর্মী এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। কারখানার ঝুট নিয়ে স্থানীয়ভাবে নিজেদের মধ্যে একটা ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি।
সদর মেট্রো থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।