নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুর, কাপাসিয়া ও কালীগঞ্জ থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শ্রীপুর থানার কার্যক্রম শুরু হওয়া উপলক্ষে সোমাবর (১২ আগস্ট) দুপুরে শ্রীপুর থানা প্রাঙ্গণে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, কালিয়াকৈর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আজমীর হোসেন, বিএনপি নেতা শাহজাহান ফকির, আব্দুল মোতালেব, আক্তারুল আল মাষ্টার, জামায়েত নেতা নূরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা আলমগীর হোসেনসহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
এ সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শ্রীপুরের প্রতিনিধি সিফাত উল্লাহ ফকির বলেন, আমরা মাওনা উড়াল সেতুর নিচে ময়লা পরিষ্কার করছি, আমরা জায়গায় জায়গায় ট্রাফিকের কাজ করছি সেসব কাজে কোন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদেরকে পাচ্ছি না। কেন পাচ্ছি না? আমরাতো আপনাদেরই সন্তান, আমরা নতুনভাবে দেশ গঠনের জন্য অন্দোলনে গিয়েছি। আমাদেরও কি কোন স্বার্থ ছিল? উপস্থিত রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন আপনারা আছেন আপনাদের সভা, মিছিল মিটিং নিয়ে। বিনীত অনুরোধ করব আপনারা দয়া করে শৃঙ্খলার জন্য কাজ করেন। দেশটাকে নতুন করতে গড়তে আমাদেরকে সহযোগীতা করেন।
শ্রীপুর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি শাহজাহান ফকির দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কোনো অবস্থাতেই কারো বাড়িঘর, দোকানপাটে হামলা করবেন না। তিনি পুলিশের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পূর্বে পুলিশ নিজে বিএনপি কর্মীদের ধরে তাদের পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। আপনারা আমাদের ভাই, বন্ধু। আপনাদের পাশে থেকে আমরা দেশকে দুর্ণীতি ও অরাজকতা মুক্ত করতে চাই।
শ্রীপুর উপজেলা জামায়েত ইসলামীর আমীর নূরুল ইসলাম বলেন, যারা আন্দোলন করে বিজয়ে আহত হয়েছেন তারা গাজী। এই বাংলাদেশে ৭১ এর পরে ২০২৪ সালে দ্বিতীয়বার নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। এই স্বাধীনতা কোনো পরাশক্তি রাষ্ট্রের অধীনে নয়। এই স্বাধীনতা বাংলাদেশের আপামর জনসাধারনের। যারা নির্যাতিত, নিষ্পেষিত ছিল তাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল, তাদের মাধ্যমে দেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। রাজনৈতি দলের নেতৃবৃন্দ পারি নাই, আমাদের সন্তানেরা, ছাত্ররা নতুন করে দেশ প্রেমে উদ্বুত্ব হয়ে আমাদেরকে শিক্ষা দিয়ে গেছেন দেশের জন্য কিভাবে জীবন দিতে হয়, কিভাবে কাজ করতে হয়।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শোভন রাংসা বলেন, আপনারা যত বেশি থানা পুলিশকে সহযোগীতা করতে পারবেন, পুলিশ ততবেশি আপনাদেরকে সেবা দিতে পারবে। আন্দোলনের উদ্দেশ্যে হলো সকলের সহযোগীতায় এ দেশকে দুর্ণীতিমুক্ত করা।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আজমীর হোসেন বলেন, প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে পষুত্ব আছে। আমাদের সেই পুষুত্বকে দমায়ে রাখতে হয়। আমরা আর চাই না পরিবর্তীত পরিবেশে পষুত্ব আবার ফিরে আসুক। আমরা চাই থানা কেন্দ্রীক যে দালাল সিন্ডিকেট আছে তারা যেন আর এ সুযোগ নিতে না পারে। তাদেরকে বিতারীর করতে পুলিশের একার পক্ষে সম্ভব না। আমাদের সাথে রাজনৈতিক নেতাকর্মী, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের ব্যাক্তিদের এগিয়ে আসতে হবে। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা আমাদের ভুলত্রুটিগুলো তুলে ধরবেন।
তিনি আরো বলেন, এখন থেকে চাটুকারিতা, চাটামি, দালালি এগুলো আমার মনে হয় না আর দরকার আছে। আপনারা আপনাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করুন। ব্যক্তি সুবিধার জন্য দেশের যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে দয়া করে সেগুলোর ক্ষতি করবেন না। ইতোমধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠানের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। পুলিশ বাহিনী জীবন দিয়েছে, মানুষের মুখোমুখি দঁড়িয়ে গিয়েছে। এর জন্য আমি শুধু সরকারকে দায়ী করব না, প্রত্যেকটা মানুষের দায় আছে যারা পুলিশ বাহিনীকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।