নিজস্ব প্রতিবেদব, গাজীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুরে প্রাইভেট শিক্ষকের কাছ থেকে বই ফেরত আনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর দাদা বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষক আরিফ মিয়াকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে।
আরিফ মিয়া শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের কামাল মিয়ার ছেলে। তিনি মুলাইদ আয়শা প্রি-ক্যাডেট অ্যান্ড হাই স্কুলের শিক্ষক।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, শনিবার (২৮ জুন) বেলা সোয়া ১১টায় মুলাইদ (রঙ্গীলা) তালিমুল কুরআন আন্তর্জাতিক মহিলা মাদ্রাসার তৃতীয় তলার অফিস কক্ষে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেন আরিফ।
থানায় দায়ের করা এজাহারে বলা হয়েছে, ভিকটিম আরিফের কাছে প্রাইভেট পড়ত। এ সুযোগে শিক্ষক তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করেন। কয়েক দিন আগে আরিফ ওই শিক্ষার্থীর কাছ থেকে একটি বিজ্ঞান বই নেন। ২৮ জুন বই ফেরত দেওয়ার কথা বলে ওই শিক্ষার্থীকে মুলাইদ (রঙ্গীলা) তালিমুল কুরআন আন্তর্জাতিক মহিলা মাদ্রাসায় ডাকেন আরিফ। শিক্ষকের কথামতো শিক্ষার্থী ওই মাদ্রাসায় গেলে তাকে তৃতীয় তলার অফিস কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন আরিফ। এ সময় শিক্ষার্থী চিৎকার দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকে হুমকি দিয়ে এ বিষয়ে কাউকে জানাতে নিষেধ করা হয়। ওই শিক্ষার্থী বাড়িতে ফিরে তার মাকে জানায়। স্বজনদের সঙ্গে আলোচনার পর বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) শ্রীপুর থানায় আরিফের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ওই শিক্ষার্থীর দাদা।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ আব্দুল বারিক জানিয়েছেন, ভিকটিমের দাদার অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষক আরিফ মিয়াকে মুলাইদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদে তিনি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।