নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জমে থাকা পানিতে দুর্ভোগে পড়েছেন পথচারী, চালক, যাত্রী ও স্থানীয়রা। টাকা ১০ দিন ধরে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করলেও সমস্যা সমাধানে এখনো কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন, সড়ক ও জনপথ বা বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এখানে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক এবং টাঙ্গাইল সড়ক মিলিত হয়েছে। প্রতিদিন হাজারো মানুষ এই পথ দিয়ে চলাচল করে। বিআরটি প্রকল্পের কাজ শুরুর পর থেকেই দুর্ভোগ বাড়তে থাকে, এখন তার সঙ্গে যোগ হয়েছে জলাবদ্ধতার সমস্যা। গত ১৭ এপ্রিল রাতের বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। ফলে হাঁটাচলা যেমন কঠিন হয়ে পড়েছে, তেমনি যানবাহন গর্তে আটকে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটছে। বড় দুর্ঘটনা ঘটার শঙ্কাও দেখা দিয়েছে। জলাবদ্ধতার প্রভাবে আশপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর বেচাকেনাও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ময়মনসিংহগামী আরাফাত পরিবহনের চালক দেলোয়ার হোসেন জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চান্দনা এলাকায় পানি জমে আছে। এ কারণে পুরো লেনই ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। কেউ যানবাহন চালানোর চেষ্টা করলেও দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। অনেক সময় এ ময়লা পানি মাড়িয়েই কিন্তু বাসে উঠছেন যাত্রীরা।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে এমনটাই হয়েছে জানিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রতি বর্ষাতেই এমন জলাবদ্ধতা হয়। আগে দেখেছি জলাবদ্ধতা নিরসনে কর্তৃপক্ষ প্রস্তুতি গ্রহণ করতেন। এবার তা করা হয়নি। পূর্বের ড্রেনগুলো আগে থেকে পরিষ্কার করে ফেললেই এমন পরিস্থিতির তৈরি হতো না।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ও ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী বলেন, বিআরটি প্রকল্পের কাজের সময় ড্রেন বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা তাদের জানিয়েছি, তবে এখনো কার্যকর কোনো সাড়া মেলেনি। আমাদের লোকজন কয়েকদিন চেষ্টা করেছিল তারাও পারেনি। পুরো বিষয়গুলো বিআরটি প্রকল্পের নখদর্পণে আছে। তবে জনদুর্ভোগ লাঘবে আশা করি তারা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে ড্রেনের পানি নিষ্কাশনের পথ খুলে দেবে।
অন্যদিকে বিআরটি প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্বে থাকা রেজাউল করিম বলেন, এটি শুধু বৃষ্টির পানি নয়, আশপাশের বাড়িঘরের স্যুয়ারেজ লাইনের পানিও মিশে গেছে এখানে। এসব ব্যবস্থাপনা করা সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব। তবুও আমরা দুই তিন বার চেষ্টা করেছি। আমরা যে লোক দিয়ে চেষ্টা করে তারা পারেনি। এখন আরও একটি গ্রুপকে দায়িত্ব দিয়েছি, তারা আগামীকাল থেকে নামবে। বিষয়টি নিয়ে আরও বিস্তারিত জানতে আপনি গাজীপুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী কেএম শরিফুল আলমের সাথে যোগাযোগ করেন।
গাজীপুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী কেএম শরিফুল আলমের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।