নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৮০০ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি হত্যা মামলা হয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) রাতে কালিয়াকৈর থানায় মামলা দুটি দায়ের করা হয়। নিহতদের একজনের ভাই ও অন্যজনের বন্ধু বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
নিহতরা হলেন—কালিয়াকৈর উপজেলার আন্দারমানিক গ্রামের আব্দুল্লাহ আল মামুন (২০) এবং ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার নাওগাও গ্রামের হাফিজুল ইসলাম গাজী (২৫)।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ৪ আগস্ট বিকেলে কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর আনসার অ্যাকাডেমির ৩ নম্বর গেটের সামনে ছাত্র-জনতার একটি মিছিলে গুলিবর্ষণ ও লাঠিচার্জ চালানো হয়। এতে হাফিজুল ইসলাম গাজীসহ অনেকে আহত হন। হাফিজুলকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে টাঙ্গাইলের কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে পরদিন (৫ আগস্ট) তিনি মারা যান। নিহতের বড় ভাই আব্দুল হামিদ গাজী এ ঘটনায় শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও ৪০০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন।
একইদিন ওই এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আব্দুল্লাহ আল মামুন। গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় নিহতের বন্ধু নয়ন মিয়া বাদী হয়ে শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে আরও একটি মামলা করেন। ওই মামলায় ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ আরও ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিষয়ে গাজীপুরের পুলিশ সুপার চৌধুরী মো. যাবের সাদেক বলেন, “নিহত দুইজনের ঘটনায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযোগের সব তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনগত প্রক্রিয়া অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”
মামলার বাদীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়া পরিবারগুলো ন্যায়বিচারের আশায় এবার আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন। এখন দেখার বিষয়, তদন্ত ও বিচার কতটা নিরপেক্ষভাবে অগ্রসর হয়।
এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।