বিনোদন ডেস্ক : নিজের জনপ্রিয়তার বিষয়ে ভুবন বাদ্যকর তখন বুঝতে পারেন যখন তাঁর সঙ্গে দূর দূর থেকে লোকজন দেখা করতে আসা শুরু করলেন। মানুষজন তাঁর সঙ্গে ছবি তোলা ও ভিডিও বানানো শুরু করেন। তিনি যে ইন্টারনেট সেনসেশন হয়ে গিয়েছেন সেটা তিনি কথন বুঝতে পারেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় যদি থেকে থাকেন তাহলে ‘কাঁচা বাদাম’ গানটি নিশ্চয় শুনেছেন। এই গান ভুবন বাদ্যকর নামে বাংলার এক বাদাম বিক্রেতাকে রাতারাতি জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে চলে যায়। ভুবনবাবুর বাদাম বিক্রির এই বিশেষ ধরন খুবই পছন্দ হয় মানুষের। আর তার জেরেই ভাইরাল হয়ে যায় ভিডিওটি। এখনও পর্যন্ত ৫০ মিলিয়নেরও বেশিবার দেখা হয়েছে ভিডিওটি। একইসঙ্গে শেয়ারও হয়েছে প্রচুর।
নিজের জনপ্রিয়তার বিষয়ে ভুবন বাদ্যকর তখন বুঝতে পারেন যখন তাঁর সঙ্গে দূর দূর থেকে লোকজন দেখা করতে আসা শুরু করলেন। মানুষজন তাঁর সঙ্গে ছবি তোলা ও ভিডিও বানানো শুরু করেন। তিনি যে ইন্টারনেট সেনসেশন হয়ে গিয়েছেন সেটা তিনি কথন বুঝতে পারেন।
বাদাম বেচে রোজগার ২০০ টাকা :আজতক ডট ইনের সঙ্গে কথা বলার সময় ভুবন বাদ্যকর জানান, ‘আমি এটাকে ভগবানের আশীর্বাদ বলে মনে করি, যে তিনি আমাকে এর যোগ্য মনে করেছেন। আমি বস্তিতে থাকি এবং সেখান থেকেই কাঁচা বাদাম বিক্রি করি। জীবন একটি করে বদলাচ্ছে।’
ভুবনবাবু আরও জানান যা তাঁর বয়স ৫০ বছর। মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। পেশাগতভাবে তিনি বাদাম বিক্রি করেন। কাঁচা বাদাম বিক্রি কর রোজ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা রোজগার করেন তিনি। তাঁর এই জনপ্রিয়তায় স্ত্রী ও পরিবারের সকলে খুবই খুশি বলেও জানান ভুবনবাবু।
কাঁচা বাদামের অফিসিয়াল ভিডিওর জন্য পাননি টাকা : কাঁচা বাদাম গানের একটি মিউজিক ভিডিও ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে। এই বিষয়ে ভুবন বাদ্যকর জানান, ‘আমি খুবই খুশি। গ্রামের লোকেরা বলছেন, ভুবন তুমি তো বিখ্যাত হয়ে গিয়েছ। আমি জিজ্ঞাসা করি কীভাবে? তাঁরা বললেন ভিডিও আপলোড হয়েছে। বাংলাদেশ থেকেও অনেকে আমার সঙ্গে দেখা করতে আসেন, ছবি তোলেন।
আমি স্টুডিওতে গানটি গেয়েছি। সেখানকার টাকা পাইনি। আমার সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল ৬০-৪০ শতাংশের, যার টাকা পাইনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘টাকা দেবে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কিছু জানতে পারিনি। যাঁরা আসেন তাঁরা রেকর্ড করার পর ৫০০ থেকে ২-৩ হাজারা টাকা দিয়ে চলে যান।
ইউটিউবের লোকেরা কিছু টাকা দিয়ে যায়। কিন্তু স্টুডিওতে যে অডিও এবং ভিডিও রেকর্ড হয়েছিল তার কোনও টাকা পাইনি।’ এরপর ভুবন বলেন, ‘আমার জনপ্রিয়তা দেখে লোকজন আমায় তাদের দলে ডাকেন। সরস্বতী পুজো মণ্ডপ বা কোনও ইভেন্টে আমায় গান গাওয়ানো হয়, গান গাইলে টাকা দেন।’
বহিরাগতদের ওপরে বিধিনিষেধ জারি করেছেন গ্রামবাসীরা : ভুবন বাদ্যকরকে বঞ্চিত হতে দেখে গ্রামবাসীরা এবার বহিরাগতদের তাঁর সঙ্গে দেখা করার ওপরে বিধিনিষেধ জারি করেছেন। তাঁদের বক্তব্য হল, ভুবনকে ব্যবহার করে সবাই চলে যাচ্ছেন কিন্তু তিনি তাঁর প্রাপ্য পাচ্ছেন না। তাই এখন আর কোনও বাইরের লোক গ্রামবাসীদের অনুমতি ছাড়া ভুবনবাবুর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।