আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তার অপরাধ, গানে গানে সরকারের সমালোচনা করেছেন। আর এই অপরাধে প্রথমে গ্রেফতার, অতঃপর কারাজীবন; এবার তাকে সোজা মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে ইরানের আদালত। গায়কের নাম তোমাজ সালেহি। তিনি ইরানের বেশ জনপ্রিয় হিপহপ শিল্পী। দেশটির পরিবর্তন চাওয়া জনগণের মাঝে যার গান বিপুল গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।
মার্কিন সাময়িকী ভ্যারাইটিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবরটি প্রকাশ হয়েছে। ৩৩ বছর বয়সী সালেহির আইনজীবী গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) টুইট করে বলেছেন, ‘তোমাজ সালেহিকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে।’
বছর দুয়েক আগে পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় মারা যান ইরানি তরুণী মাসা আমিনি। সেই ঘটনার পরই ফুঁসে ওঠে দেশটির জনগণ। বিক্ষোভে নামে হাজার হাজার মানুষ। একই সময়ে গানের মাধ্যমে একাত্ম হন তোমাজ সালেহি। ঝাঁজালো শব্দ-সুরে তিনি প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। যার কারণে ২০২২ সালের অক্টোবরে সালেহিকে গ্রেফতার করে ইরানের পুলিশ। এরপর জামিনে ছাড়া পেলেও পুনরায় গ্রেফতার হন এই শিল্পী।
সালেহির ফাঁসের আদেশের খবর শুনে প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগীতের সর্বোচ্চ পুরস্কার গ্র্যামি’র কর্তৃপক্ষ ‘দ্য রেকর্ডিং অ্যাকাডেমি’। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘তোমাজ সালেহির খবরে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। শিল্পের মাধ্যমে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করা কোনও শিল্পীর মৃত্যুর কারণ হতে পারে না। সংগীত একটি শক্তিশালী মাধ্যম, যা পৃথিবীতে ভালো কিছু বয়ে আনে এবং এটা আজকের দিনে আরও অনেক বেশি প্রয়োজন। আমরা বিশ্বের সব শিল্পীর পাশে আছি, যারা মানুষের জীবনচিত্র গানের মাধ্যমে তুলে ধরেন। শিল্পীদের স্বাধীনতায় আমরা নির্ভীক হয়ে কাজ করে যাবো।’
এদিকে ইরানে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের পক্ষ থেকেও একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে লেখা, ‘ইরানি র্যাপার তোমাজ সালেহির ফাঁসির আদেশ এবং পাঁচ বছরের কারাদণ্ড আদেশের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা অবিলম্বে তার মুক্তি চাই।’
এছাড়া মার্কিন র্যাপার মিক মিল-সহ আরও অনেক সংগীতশিল্পী এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। তারাও তোমাজ সালেহির মুক্তির দাবি জানাচ্ছেন। পাশাপাশি ইরানের সাধারণ মানুষও রাস্তায় নেমে শিল্পীর মুক্তির জন্য বিক্ষোভ করছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।