জুমবাংলা ডেস্ক : নতুন সড়ক পরিবহন আইনে তৃতীয় পক্ষের গাড়ির বিমা বাধ্যবাধতামূলক নয়। মালিক ইচ্ছা করলে গাড়ির ও যাত্রীর বিমা করবেন। তাই বিমা না থাকা গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের থেকে বিরত থাকতে পুলিশকে অনুরোধ জানিয়েছে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। ১৯৮৩ সালের মোটরযান অধ্যাদেশে গাড়ির তৃতীয় পক্ষ (থার্ড পার্টি) ঝুঁকি বিমা করা বাধ্যতামূলক ছিল। বিমা না করলে মামলা ও জরিমানার বিধান ছিল। গত ১ নভেম্বর কার্যকর হওয়া বহুল আলোচিত সড়ক পরিবহন আইনে এ বিধান তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও পুলিশ মামলা করছিল।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেছেন, এ বিভ্রান্তি দূর করতে পুলিশকে চিঠি দিয়ে নতুন আইনের বিষয়ে জানানো হয়েছে। থার্ড পার্টি বিমায় দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ির ক্ষয়ক্ষতি অন্তর্ভূক্ত নয়। শুধুমাত্র দুর্ঘটনায় তৃতীয় পক্ষের কেউ হতাহত হলে ক্ষতিপূরণ দেয় বিমা কোম্পানি। তবে স্বল্প টাকার প্রিমিয়ামের এ বিমায় ক্ষতিপূরণ পাওয়ার খুব একটা নজির নেই। প্রিমিয়াম বেশি হওয়ায় গাড়ির ক্ষতিপূরণ পেতে প্রথম বিমা সাধারণত মালিকরা করেন না।
সড়ক পরিবহন আইনের ৫২ ধারায় বিমার বদলে ক্ষতিপূরণ তহবিল গঠনের কথা বলা হয়েছে। ৫৩ (১) ধারায় বলা হয়েছে দুর্ঘটনায় হতাহতরা আবেদন করলে তহবিল থেকে সহায়তা পাবেন। ৫৩(২) ধারায় বলা হয়েছে, শ্রেণি অনুযায়ী গাড়ি থেকে বার্ষিক চাঁদা নিয়ে তহবিল গঠন করা হবে। বিধিমালায় এখনো চূড়ান্ত না হওয়ায় কোন গাড়ির জন্য কত চাঁদা দিতে হবে তা এখনো ঠিক হয়নি বলে জানিয়েছেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান।
আইনানুযায়ী, তহবিল পরিচালনা করবে সরকারি কর্মকর্তা, বিশিষ্ট নাগরিক এবং পরিবহন মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত ট্রাস্টি বোর্ড। কিন্তু আইন কার্যকরের এক বছরেও বোর্ড গঠিত হয়নি।
সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেছেন, তৃতীয় পক্ষের ঝুঁকির জন্য তহবিল গঠন করা হবে। তাই থার্ড পার্টি বিমা বাধ্যতামূলক রাখা হয়নি।
মোটরযান অধ্যাদেশের মতো নতুন আইনেও প্রথম পক্ষ (ফার্স্ট পার্টি) বিমা গাড়ি মালিকের ইচ্ছাধীন। ৬০ (১) ধারায় বলা হয়েছে, মালিক চাইলে গাড়ির এবং গাড়িতে পরিবহনের জন্য নির্দিষ্টকৃত যাত্রীর জন্য বিমা করবেন। দুর্ঘটনায় গাড়ির ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ বিমা কোম্পানি বহন করবে। ৫৩ ধারা অনুযায়ী গঠিত তহবিল থেকে ক্ষতিপূরণ দাবি করা যাবে না।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেছেন, তহবিল থেকে গাড়ি নয় শুধু হতাহতের ক্ষতিপূরণ পেতে আবেদন করা যাবে। গাড়ির ক্ষতিপূরণ পেতে প্রথম পক্ষ ঝুঁকি বিমা করতে হবে। এ বিমা না করলে মামলা ও জরিমানার বিধান নেই।
এদিকে শনিবার বিআরটিএ’র ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, এখন থেকে ঢাকার তিনটি সার্কেলে গাড়ির ফিটনেস সনদ নবায়নে এই ওয়েবসাইটের (https://bsp.brta.gov.bd) মাধ্যমে আগে থেকে তারিখ ও সময় নির্ধারণ করে আসতে হবে। নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে না এলে ফিটনেস হালনাগাদ করা হবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।