বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : গ্রহাণুর নমুনা সঙ্গে নিয়ে পৃথিবীতে ফিরছে নাসার মহাকাশযান ওসাইরিস রেক্স। শুধু গ্রহাণুর চারপাশে পাক খাওয়াই নয়, তার গা ছুঁয়ে, ধুলো-পাথরের নমুনা নিয়ে আজই পৃথিবীতে ফিরছে ওসাইরিস রেক্স। কী আছে অ্যাস্টারয়েডে? সৌরজগৎ শুরুর কোনও তথ্য মিলবে কি? নমুনা হাতে পেলেই খুঁজতে শুরু করবে নাসা। উত্তর মিলবে ১১ অক্টোবর।
সৌরজগতে আট গ্রহ, সঙ্গে একাধিক উপগ্রহ। আর রয়েছে অসংখ্য গ্রহাণু। এরকমই একটি গ্রহাণু বেণু। বয়স ৪৫০ কোটি বছরেরও বেশি। কিন্তু খোঁজ মিলেছে মাত্র কয়েক বছর আগে, ১৯৯৯ সালে। তার কাছে পৌঁছাতে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে যাত্রা শুরু নাসার। দু’বছর পর, ২০১৮ সালে বেণুর কাছে পৌঁছয় ওসাইরিস রেক্স। তার পর আরও ২ বছর ধরে বেণুর চারপাশে পাক খেয়েছে মহাকাশযান। কোত্থেকে নমুনা নেবে, খুঁজেছে সেই জায়গা।
২০২০ সালের ২৮ অক্টোবর গ্রহাণুর উত্তর গোলার্ধের একটি গহ্বরের পাথুরে মাটি ছোঁয় নাসার মহাকাশযান। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ঝুরঝুরে মাটি খুঁড়ে, ২৫০ গ্রাম গুপ্তধন নিয়ে বেরিয়ে আসে। বন্ধ করে দেওয়া হয় ক্যাপসুলের মুখ। ২০২১ সালের মে মাসে বেণুকে বিদায় জানিয়ে, পৃথিবীর পথে রওনা দেয় ওসাইরিস রেক্স। পৃথিবীতে ফিরতে এটেকে পাড়ি দিতে হয়েছে ১৯৩ কোটি কিলোমিটার।
এ বার পৃথিবীতে ফেরার পালা ওসাইরিস রেক্সের। যখন ১ লক্ষ কিলোমিটার দূরত্ব থাকবে, তখন গুপ্তধন-বোঝাই ক্যাপসুলটিকে ছেড়ে দেবে ওসাইরিস রেক্স। লক্ষ্য, আমেরিকার উটাহ মরুভূমি। পৃথিবীর সঙ্গে সরাসরি ধাক্কা এড়াতে ধীরে ধীরে গতি কমাবে ক্যাপসুল। কাজে লাগাবে সঙ্গে থাকা থ্রাস্টার বা ব্রেক। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে যখন ঢুকবে, তখন তার গতিবেগ কত থাকবে পারে ঘণ্টায় ৪৪ হাজার কিলোমিটার। বায়ুমণ্ডলে ঢোকার ২ মিনিট পর ক্যাপসুলের প্রথম প্যারাশুট খুলে যাবে। গতি কমবে। মূল প্যারাশুট খুলবে মাটি থেকে দেড় কিলোমিটার উপরে থাকার সময়। সে সময় ক্যাপসুলের গতিবেগ নেমে আসবে ঘণ্টায় মাত্র ১৭ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। তার পর ল্যান্ডিং।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।