গুপ্তধন পেয়ে রাতারাতি ধনী ফাস্ট ফুড দোকানের মালিক!

গুপ্তধন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কার ভাগ্য কখন বদলায়, সে খবর কেউ জানে না! মাটি খুঁড়ে গুপ্তধন পেয়ে রাতারাতি ধনকুবের এক ব্রিটিশ প্রৌঢ়। সম্প্রতি উইল্টশায়ারের শিপেনহ্যামে তিনি এই কুবেরের ভাণ্ডার খুঁজে পেয়েছেন। টোনি হাউস নামে ৬৮ বছর বয়সী ওই প্রৌঢ় নিজের চোখকেই যেন বিশ্বাস করতে পারছেন না! তিনি এখন ৫৭০টি টেলবি পেনির মালিক।

গুপ্তধন

শিপেনহ্যামের বাসিন্দা টোনি পেশায় মেটাল ডিটেক্টরিস্ট। তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই গুপ্তধনসন্ধানী। জানিয়েছেন, মাটির ওপর তিনি পরীক্ষা করে সিগন্যাল পান। প্রথমে খোঁড়াখুঁড়ির পর একটি স্বর্ণমুদ্রা উঠে আসে। তাতেও তিনি হতাশ হননি। নতুন উদ্যমে আরো সন্ধান পর্ব চালিয়ে যান। এরপর কয়েক বর্গমিটারের মধ্যে তিনি মোট ৫৭০টি স্বর্ণমুদ্রা খুঁজে পান। মধ্যযুগের রাজা দ্বিতীয় হেনরির সমকালীন এই স্বর্ণমুদ্রা প্রথম পাওয়া গিয়েছিল ১৮০৭ খ্রিস্টাব্দে, লিংকনশায়ারের টেলবি অ‍ঞ্চলে। সেখান থেকেই এর নাম টেলবি পেনি। সে রকমই ৫৭০টি স্বর্ণমুদ্রা পেলেন টোনি।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, টোনি যে স্বর্ণমুদ্রা পেয়েছেন সেগুলোর বয়স ৮৬৫ বছর। তৈরি হয়েছিল প্ল্যান্টাজেনেট পর্বে ১১৫৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১১৮০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে কোনো এক সময়ে। তবে মুদ্রাগুলোর নির্মাণশৈলী একেবারেই ভালো নয় বলে মত ঐতিহাসিকদের। নির্মাণের সময় ত্রুটি ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে এর গুরুত্ব ছাপিয়ে গেছে সব কিছুকে।

মনে করা হচ্ছে, টোনি যে স্বর্ণমুদ্রা পেয়েছেন, ভারতীয় মুদ্রায় তার মূল্য এক কোটি ৯৮ লাখ রুপি। টোনি একটি ফাস্ট ফুডের দোকান চালাতেন। আট বছর ধরে তিনি গোয়েন্দা হিসেবে কাজ করছেন। সব সময় তার নতুন এবং চমকপ্রদ কাজ করতে ভালো লাগে। এবার তো রাতারাতি জীবন পাল্টে গেছে।

সূত্র : নিউজ ১৮ বাংলা