জুমবাংলা ডেস্ক : নগরীর অভিজাত এলাকা গুলশান-১ এ দিনে-দুপুরে ইমানুয়েল ব্যানকুয়েট কমিউনিটি সেন্টারে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার দুপুরের এ ঘটনায় কমিউনিটি সেন্টারের সাতজন কর্মচারী আহত হয়েছেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরকার রেজওয়ান আহমেদ রিফাত ও সাবেক গুলশান থানা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ব্রাইন রোজারিওর নেতৃত্বে এ হামলা হয়।
হামলাকারীরা হেলমেট পরে ৩৫-৪০টি চাপাতি, ছোরা, রড, লাঠি নিয়ে ইমানুয়েল ব্যানকুয়েট কমিউনিটি সেন্টারে হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
এ সময় কমিউনিটি সেন্টারের হলে প্রবেশে বাধা দিলে সাত কর্মচারীকে পিটিয়ে আহত করা হয়।
আহতরা হলেন- সিকিউরিটি আমিনুল ইসলাম, আলী ইসলাম, রানা, নুর ইসলাম, সোহরাব, আনারুল ও ইউনুস ব্যাপারী।
কয়েক দফায় চালানো হামলায় প্রায় তিন লাখ টাকার গ্লাস ও লাইট ভাঙচুর করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইমানুয়েল ব্যানকুয়েট কমিউনিটি সেন্টার কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া হামলার সময় হামলাকারীরা মুরগী সরবরাহকারী রতনের কাছ থেকে এক লাখ ২০ হাজার ও বাবুর্চি নুর ইসলামের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা নিয়ে গেছে বলে দাবি করা হয়েছে।
ঘটনার দিন রাতেই গুলশান থানায় মামলা করেছেন ইমানুয়েল ব্যানকুয়েট কমিউনিটি সেন্টারের মালিক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন।
মামলায় ছাত্রলীগের রিফাত আহমেদ, ব্রাইন রোজারিও এবং জহিরুল ইসলাম খানের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার আমাদের পার্টি ছিল। আমরা হলের ভেতরের কাজ করছিলাম। হঠাৎ দুপুর সোয়া ১টার সময় হামলাকারীরা হলের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, এতে আমাদের সিকিউরিটি গার্ডরা বাধা প্রদান করলে তাদের পেটাতে থাকেন। এরপর আমার স্টাফদের যাকে সামনে পেয়েছেন, তাকেই বেদম পেটাতে ও কোপাতে থাকেন। এতে আমার সাতজন স্টাফ আহত হয়।
তিনি বলেন, হামলা চালিয়ে তারা আমার প্রতিষ্ঠানের গ্লাস ও লাইট ভেঙে তছনছ করে ফেলেছেন।
হামলার কারণ জানতে চাইলে কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমার ব্যবসায়িক পার্টনারের সঙ্গে একটু ঝামেলা চলছে। সেজন্য হয়তো তারা ছাত্রলীগকে ব্যবহার করে আমাকে মেরে বের করে দিতে চেয়েছিলেন।
এ ঘটনায় ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম হোসেনের মোবাইলে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। এমনকি খুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক মো. ইয়াদুল হক বলেন, মামলা হওয়ার পরই আমরা অভিযান পরিচালনা শুরু করেছি। আমরা সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করে যাচাই বাছাই করছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারিনি বলে জানান তিনি।
সূত্র : যুগান্তর
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।