গুলশানের ৩ বিউটি পার্লারের ৩ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকি

জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর গুলশানের তিনটি বিউটি পার্লারে অভিযান চালিয়ে প্রায় তিন কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির প্রাথমিক তথ্য পেয়েছে ভ্যাট গোয়েন্দা। সোমবার ( ১৭ আগস্ট) সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভ্যাট গোয়েন্দার মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।

প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- দ্যা জাভেদ হাবীব বিউটি পার্লার, জাহিদ খান ব্রাইডাল মেকওভার এবং ব্রাইডাল স্টুডিও ও অ্যারোমা থাই স্পা।

ড. মইনুল খান জানান, ভ্যাট গোয়েন্দার উপপরিচালক নাজমুন নাহার কায়সার ও ফেরদৌসী মাহবুবের নেতৃত্বে রোববার (১৬ আগস্ট) এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে দেখা যায়, জাভেদ হাবীব একটি ভবনের দুটি ফ্লোর মাসিক ৮ লাখ টাকায় ভাড়া নিলেও তারা ভ্যাট দেন মাত্র ৫০ হাজার টাকার ওপর। বাকি ভাড়ার তথ্য গোপন করেন তারা। এছাড়া ক্রেতাদের সেবা বাবদ যথাযথ ভ্যাট চালানও ইস্যু করে না প্রতিষ্ঠানটি। অন্যদিকে মাসিক রিটার্নে তার প্রকৃত বিক্রয় তথ্য গোপনও করা হয়েছে। ভ্যাট গোয়েন্দার দল প্রতিষ্ঠান থেকে জব্দ করা কাগজপত্র যাচাই করে প্রাথমিকভাবে প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকির তথ্য পান।

তিনি জানান, দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠানটি মূলত বিলাসবহুল ব্রাইডাল পার্লার। ভেতরে ব্রাইডাল পোশাক ও নানা ধরনের গহনা বিক্রি করে থাকে। ভ্যাট গোয়েন্দার দল তাদের ভ্যাট রিটার্ন যাচাই করে দেখতে পান, তারা প্রকৃত বিক্রয় তথ্য গোপন করেছে। এমনকি তারাও যথাযথভাবে ভ্যাট চালান ইস্যু করে না। তারা পুরানো ও বাতিল নিবন্ধন দিয়ে এখনও কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। অনুসন্ধানে এই প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ওপর ভ্যাট ফাঁকির তথ্য পাওয়া যায়।

মইনুল খান বলেন, ‘অ্যারোমা থাই স্পাও একইভাবে পুরানো ও বাতিল নিবন্ধন নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছে। ভ্যাট গোয়েন্দার দল অভিযানের সময় দেখতে পান, ভ্যাটের হিসাবপত্র সঠিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা হয়নি। ভ্যাটের দলিল ও বাণিজ্যিক কাগজপত্রে ব্যাপক গরমিল পাওয়া যায়। প্রাথমিক অনুসন্ধানে এই প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৭০ লাখ টাকার ওপর ভ্যাট ফাঁকি তথ্য পাওয়া গেছে। ভ্যাট আইন অনুসারে এই তিনটি প্রতিষ্ঠান নিয়মিত রিটার্ন দাখিল করেনি।’

প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে তের ডিজিটের ভ্যাট নিবন্ধন সনদ ঝুলিয়ে রাখার বিধান থাকলেও তা পরিপালন করেনি। এই তিনটি পার্লারের বিরুদ্ধে ভ্যাট আইন ফাঁকির দায়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।