জুমবাংলা ডেস্ক: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় ৯ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে। এছাড়া তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে আরও একটি মামলা হয়েছে। রবিবার রাতে নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ (৩৫) বাদী হয়ে প্রথম মামলাটি করেন। মামলা হয়েছে ঘটনার ৩২ দিন পর। এরইমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রধান আসামিসহ চার জনকে। নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা।
রবিবার ভুক্তভোগী নারী বেগমগঞ্জ থানায় দু’টি মামলা দায়ের করেন। একটি মামলা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে, অন্যটি পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে।
মামলার এজাহারে ওই নারী বলেন, স্বামীকে বেঁধে রেখে আসামিরা তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তারা এ ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারণা করেন। গত এক মাস ধরে তারা এই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে তাকে অনৈতিক প্রস্তাব দিচ্ছিলেন। তিনি এই অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তারা ফেসবুকে ভিডিওটি ছেড়ে দেন।
জানা গেছে, তিন বছর আগে ওই নারীর বিয়ে হয়। স্বামী তাকে রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর থেকে তিনি বাবার বাড়িতে থাকতেন। দীর্ঘদিন স্বামীর সঙ্গে তার কোনও যোগাযোগ ছিল না। ২ সেপ্টেম্বর রাতে ওই নারীর স্বামী তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। রাত ১০টার দিকে দেলোয়ার তার লোকজন নিয়ে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে অনৈতিক কাজের অভিযোগ এনে তাকে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে পিটিয়ে তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও করে।
এদিকে এ ঘটনার প্রধান আসামি বাদলসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাদলকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ ছাড়া এই ঘটনায় দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারকেও অস্ত্রসহ নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার সকালে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়। এর আগে রোববার বিকেলে আবদুর রহিম (২০) ও রাতে রহমত উল্লাহ (৪১) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।