জুমবাংলা ডেস্ক : যৌ’ন কেলেঙ্কারীতে ফেঁসে যাওয়া জামালপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের আর কোনো খবরই পাওয়া যাচ্ছে না। মন্ত্রণালয়ে অফিস না করে একরকম আত্মগোপনেই চলে গেছেন তিনি। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নিজ স্বজনদের সঙ্গেও তার যোগাযোগ না রাখলেও আহমেদ কবীরের সঙ্গে তদন্ত দলের নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন।
সূত্র জানায়, গত সপ্তাহে তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়। তাকে যেহেতু কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয়নি, তাই কাজ হচ্ছে নিয়মিত অফিস করা। মন্ত্রণালয়ের লাইব্রেরীতে রক্ষিত খাতায় তিনি নিয়মিত স্বাক্ষর করলেই হবে। কিন্তু তিনি তা করছেন না। ঢাকা এসে মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট করে তিনি আর অফিসে হাজিরা দেন নি। তবে সূত্র জানায়, আহমেদ কবীরের সঙ্গে তদন্ত দলের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ আগস্ট বিকেলে ‘খন্দকার সোহেল আহমেদ’ নামের একটি পাবলিক ফিগার ফেসবুক পেজ থেকে জেলা পর্যায়ের সর্বোচ্চপদধারী এই সরকারি কর্মকর্তা তার অফিসেই একজন নারীর সঙ্গে অবৈধ মেলামেশার এই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করা হয়। ফেসবুক আইডি থেকে এটি ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ব্যাপক হারে নজরে আসতে থাকে ফেসবুক আইডি ব্যবহারকারীদের কাছে। এদিকে শুক্রবার ভোররাত থেকে রহস্যজনক কারণে ওই আইডির ওয়াল থেকে ভিডিও লিংকটি সরিয়ে নেয়ায় সন্দেহ আরো দানা বেঁধে উঠেছে।
এমন ভিডিও প্রকাশ পাওয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে। ৪ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে যে কক্ষটি দেখা যাচ্ছে সেটি জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের অফিস কক্ষে তার চেয়ারের ঠিক ডান পাশের ছোট একটি কক্ষ। ছোট এই কক্ষটিতে একটি ছোট খাট বসানো হয়েছে। কক্ষটি বেশ পরিপাটি দেখা যাচ্ছে। ভিডিওটিতে পুরুষ ব্যক্তিটিই জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর। আর যে নারীকে দেখা যাচ্ছে তিনি এই জেলা প্রশাসকের মাধ্যমেই সম্প্রতি নিয়োগ পাওয়া একই অফিসের একজন অফিস সহায়ক। এমন খবর প্রকাশ করেছে দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন।
জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৭ মে জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর জামালপুরে যোগদান করেন। যোগদানের কিছুদিন পর থেকেই তিনি তার অফিসের কক্ষের পাশে ছোট্ট একটি কক্ষে ধূমপান ও ব্যক্তিগত সরকারি গোপনীয় বৈঠকের জন্য কক্ষটি ব্যবহার করে আসছেন। সম্প্রতি ওই কক্ষে বিশ্রাম নেয়ার জন্য একটি খাট বসানো হয়েছে। তাতে বিশ্রাম নেয়ার মতো বালিশ, চাদর সবকিছুই আছে। ওই কক্ষে একাধিক নারীর যাতায়াতকে কেন্দ্র করে গোটা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত ওই কক্ষে একজন নারীর সঙ্গে জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের অবৈধ মেলামেশার ভিডিওটি ভাইরাল হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।