জুমবাংলা ডেস্ক : গোপালগঞ্জ জেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার আর থাকছে না। আগামীকাল (২১ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ১৬২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার প্রতি ১টি করে ঘর ও ২ শতাংশ জমি দিচ্ছেন।
এর মধ্যদিয়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ২১টি ইউনিয়নে আর কোন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার থাকছে না।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন জানান, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ১ হাজার ৮২৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে চিহ্নিত করে তালিকা করা হয়। প্রথম ধাপে ৪৮০টি পবিরাকে ঘর দেয়া হয়। দ্বিতীয় ধাপে ঘর পায় ৬৩১টি পরিবার। ঈদের আগে তৃতীয় ধাপের প্রথম কিন্তিতে ৫১১টি ঘর বিতরণ করা হয়। তৃতীয় ধাপের শেষ কিস্তিতে ২১ জুলাই ১৬২টি ঘর দেয়া হবে। এর মধ্যদিয়ে ১ হাজার ৮২৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর ও জমি প্রদান করা সম্পন্ন করা হবে। ফলে এ উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার আর থাকছে না।
দেশের মধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় সর্বোচ্চ ১ হাজার ৮২৪টি ঘর নির্মাণ করে বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহসিন উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্প এটি। আমরা প্রথম ১ হজার ৮২৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার চিহ্নিত করে তালিকা ভূক্ত করি। গৃহ নির্মাণের জন্য আমরা ১৪টি ইউনিয়নের ৩২টি স্পটে অভিযান চালিয়ে ৭ কোটি ৬ লাখ টাকা মূল্যের ২৭.৮ একর সরকারি খাস জমি উদ্ধার করি। তারপর সদর উপজেলার জালালাবাদ, বৌলতলী, সাতপাড়, করপাড়া, শুকতাইল, গোপিনাথপুর, পাইককান্দি, উরফি, লতিফপুর, উলপুর, দূর্গাপুর, গোবরা, হরিদাসপুর ও রঘুনাথপুর ইউনিয়নের ৩২টি স্থানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রায়ণ নিদের্শনা অনুসারে গৃহ নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। পরে ৩টি ধাপে ঘর বিতরণ করা হয়। এখন তৃতীয় ধাপের শেষ কিস্তির ১৬২টি ঘর প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিটি ঘরে ২টি কক্ষ, একটি বারান্দা, ১টি বাথরুম ও একটি রান্নাঘর থাকছে।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ১ হাজার ৮২৪টি পরিবারকে ঘর আর জায়গা দিয়েই আমরা দায়িত্ব শেষ করছি না। পরিবারগুলোর বিদ্যুৎ ও নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের কর্মসংস্থানের জন্য প্রশিক্ষণ ও উপকরণ দেয়া হচ্ছে। শিশুদের লেখাপড়া নিশ্চিতে কাজ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ণে তারা যাতে পরিবার পরিজন নিয়ে সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে পারে তার জন্য কাজ করা হচ্ছে। এছাড়া আশ্রায়ণে বৃক্ষ রোপণ করা হয়েছে। সেখানে শাকসবজি উৎপাদনে তাদের প্রশিক্ষণসহ সব ধরণের সহায়তা করা হচ্ছে।-বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।