যশোর প্রতিনিধি : গোলাপি বাঁধাকপি আবাদে যশোরের কৃষক আমিন উদ্দীনের খরচ হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে তিনি ৪৫ হাজার টাকার মতো এই সবজি বিক্রি করেছেন। জমিতে যে সবজি আছে, সেগুলো বিক্রি করতে পারলে আরও দেড় লাখ টাকার সবজি বিক্রি করা যাবে। অর্থাৎ ৩৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে তার মোট বিক্রির পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ২ লাখ টাকা। অবশ্য এটা সম্ভব হবে যদি সবজির বাজার দর একই থাকে।
যশোরে গোলাপি বাঁধাকপি একেবারেই নতুন সবজি। এ সবজির চাষও হয়েছে এবারই প্রথম। চুড়ামনকাটি হৈবতপুর এলাকার পোলতাডাঙ্গা মাঠে মাস চারেক আগে গোলাপি বাঁধাকপি চাষ করেন কৃষক আমিন উদ্দীন। তার ক্ষেতে ভাল ফলন দেখে একই গ্রামের আরো ১০ থেকে ১২ কৃষক নতুন এই সবজি চাষ করেছেন।
অন্য বাঁধাকপির মতো বীজ রোপণের ৬০ থেকে ৭০ দিনের মধ্যে সবজিটি বাজারে বিক্রির উপযোগী হয়।
আমিন উদ্দীন জানান, গত মৌসুমে পরীক্ষামূলকভাবে ৪টি গাছ রোপণ হলেও তিনি এখন অন্যান্য সবজির মতো বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করেছেন। তিনি এই মৌসুমে প্রথমবারের মতো দুই বিঘা জমিতে পিংক ক্যাবেজ (গোলাপি বাঁধাকপি) চাষ করেছেন।
তিনি আরো জানান, পিংক ক্যাবেজের বাজারে পাইকারি মূল্য ২২ টাকা। এই সবজির এতো চাহিদা এবং গুণাগুণ কোনোদিন বাজারে নিয়ে বিক্রি করা লাগেনি। যশোর জেলা সহ আশপাশের ব্যবসায়ীরা পাইকারি মূল্যে ক্ষেত থেকে এই সবজি নিয়মিত নিয়ে যাচ্ছে।
যশোর সদরের চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের কৃষি কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বলেন, নতুন জাতের পিংক ক্যাবেজ বাঁধাকপি এই এলাকায় ৪ হেক্টর জমিতে প্রথমবারের মতো চাষ হয়েছে। তবে গত মৌসুমে আমিন উদ্দীন পরীক্ষামূলক উৎপাদন করে অনেক চাষির নজর কেড়েছিলেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর তাদেরকে নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছে। আগামীতে চাষের পরিমাণ আরো বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।