রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্সকে আরও শক্তিশালী করতে চায় সরকার। তাদের গ্যাস অনুসন্ধানের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আগ্রহী বাংলাদেশ সরকার। চলতি বছরেই আরও একটি রিগ ক্রয় করতে চায় সরকার। জ্বালানি বিভাগ পেট্রোবাংলার প্রকল্পটি যাচাই করে দেখছে। গ্যাসের কূপ খনন ও উত্তোলনের বিষয়ে আরও জোরালো ভূমিকা সরকার পালন করবে বলে আশা করছে বিশেষজ্ঞরা। বাপেক্স এর টার্গেট হচ্ছে ২০২৫ সালের মধ্যে ১১টি কূপ খনন করে শেষ করা।
কূপ খননের সক্ষমতা বাড়াতে নতুন একটি রিগ কিনতে চায় পেট্রোবাংলা। পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান রেজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের দেশি প্রতিষ্ঠান বাপেক্সকে সর্বোচ্চ গতিশীল করতে আমরা চেষ্টা করছি। এখন ৫টা রিগ আছে, আরও একটা রিগ আমরা যুক্ত করতে যাচ্ছি। আমরা ডিপিপি এরইমধ্যে পাঠিয়েছি। বিভাগীয় মূল্যায়ন কমিটি বলে একটা কমিটি আছে, জ্বালানি বিভাগের।’
বাপেক্সের একটি কূপ খননে গড়ে খরচ ১০০ কোটির নিচে। অন্যদিকে বিদেশি কোম্পানি দিয়ে খননে ব্যয় হয় ১৮০ থেকে ২০০ কোটি টাকা। গ্যাসকূপ খনন ও আবিষ্কারে যথেষ্ট সফলতা থাকলেও বাপেক্স অবহেলিত ছিল বলে মত বিশ্লেষকদের। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটিকে শক্তিশালী করতে সামনে বাজেটে বরাদ্দ রাখার তাগিদ তাদের।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘গ্যাস কূপ খননের জন্য অনুমোদন, এ কাজগুলোকে সর্বোচ্চ প্রাধিকার দিয়ে নিয়ে যাওয়া দরকার। এ জন্য নতুন করে সরকারে যদি রিগ কেনার প্রয়োজন পরে অথবা রিগ যদি সরকার ভাড়ায় নিয়ে আসতে পারে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে সে বিষয়গুলো এখানে বিবেচনা করা যেতে পারে। কারণ আমাদের দীর্ঘমেয়াদে গ্যাসের সাপ্লাই অনেক বেশি প্রয়োজন রয়েছে।’
গত দেড় বছরে কূপ খননে পৌনে ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মিললেও পাইপলাইনের অভাবে ১০০ মিলিয়ন ব্যবহারে আসছে না। অর্থনীতির স্বার্থে এখাতেও দ্রুত বিনিয়োগ জরুরি বলে মত পর্যবেক্ষকদের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।