জুমবাংলা ডেস্ক : বর্ডার দিয়ে অবৈধভাবে সুতা দেশের বাজারে আসছে। এলসি ছাড়া ট্রাক ভর্তি করে এসব সুতা দেশের বাজারে অবৈধভাবে প্রবেশ করছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল। তিনি বলেন, এতে দেশে উৎপাদিত সুতার স্টক বেড়ে যাচ্ছে। এসব সুতার পরিমাণ এবং গুণগত মানের তারতম্য রয়েছে।
দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে আমদানীকৃত ভারতীয় সুতা ডাম্কিং মূল্যে প্রবেশ করায় দেশীয় টেক্সটাইল মিলস ব্যাবসায়িক ক্ষতির মুখে পড়েছে। তাই স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার রাজধানীর গুলশান ক্লাবে বিটিএমএর এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান তিনি। এ সময় বক্তব্য দেন বিটিএমএর সহসভাপতি মো. আবুল কালাম, মো. সালেহ উদ জামান জিতু প্রমুখ।
বিটিএমএ সভাপতি বলেন, ‘আমারা এরই মধ্যে সরকারের কাছে আবেদন করেছি স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ করতে এবং ভারতীয় সুতায় এন্টি ডাম্কিং শুল্কারোপ করার জন্য। আমাদের পাটশিল্প তারা নিয়ে গেছে, এখন টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক নিয়ে টানাটানি শুরু করেছে।’
তিনি বলেন, ‘অন্য দেশ যত তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নিতে পারে আমাদের সরকার তা পারে না। আমাদের সরকার শিল্প ধ্বংস হওয়ার পর টনক নড়ে। সুতার মিথ্যা ঘোষণা ঠেকাতে আমাদের স্থলবন্দরগুলোর সক্ষমতা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত স্থলবন্দরের মাধ্যমে আমদানি বন্ধ রাখার অনুরোধ জানান তিনি।’
শওকত আজিজ রাসেল বলেন, বিগত বিএনপি সরকারের আমলে স্থলবন্দরের মাধ্যমে সুতা আমদানি বন্ধ ছিল, কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে তা পুনরায় চালু করে। এমন অভিযোগ করে তা বন্ধ করে সমুদ্রবন্দরের মাধ্যমে সুতা ও কাপড় আমদানি করার দাবি জানান তিনি।
বিটিএমএ সভাপতি আরো বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি তথা রপ্তানি আয়ের প্রধান চালিকাশক্তি দেশের টেক্সটাইল সেক্টর দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। এর মধ্যে গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, ডলারের সংকট, ব্যাংক সুদের হার ১৮ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের শর্তাবলি পূরণের অজুহাতে রপ্তানির বিপরীতে নগদ প্রণোদনার অস্বাভাবিক হ্রাস এবং টাকার অবমূল্যায়নের কারণে ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের সংকট ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
শওকত আজিজ রাসেল বলেন, ‘আমরা যেটুকু সুতা উৎপাদন করছি, তা বিক্রি করতে পারছি না। এলসি ও বিনা এলসিতে ভারত থেকে সুতা আসছে। অন্যদিকে ভারত যে দামে সুতা বিক্রি করছে তা ডাম্কিং। ফলে আমাদের উৎপাদিত সুতা গুদামে অবিক্রীত পড়ে আছে। বর্তমানে ৮-১০ হাজার কোটি টাকার সুতা আমাদের সদস্যদের গুদামে অবিক্রীত পড়ে আছে।’
এদিকে আগামীকাল বুধবার শিল্পে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে গণশুনানি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির এই উদ্যোগ অবিলম্বে বন্ধ করে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত করারও দাবি জানিয়েছে বিটিএমএ। উদ্যোক্তারা বলছেন, নতুন করে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি করা হলে কারখানা বন্ধ করা ছাড়া আর বিকল্প থাকবে না। বরং গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি না করে মূল্য ৩০ টাকা থেকে নামিয়ে ২০ টাকায় আনার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বিইআরসিকে আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।