লাইফস্টাইল ডেস্ক : চায়ের মধ্যে গ্রিন টির উপকারিতা বেশি। গ্রিন টি শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায়। গ্রিন টি অবশ্যই চিনি ছাড়া খেতে হবে। যারা ওজনাধিক্যে ভুগছেন তারা নির্দিষ্ট ডায়েট অনুসরণ এবং নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি খাদ্য তালিকায় গ্রিন টি রাখতে পারেন।
উপকারিতা : গ্রিন টিতে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েডস শরীরকে সতেজ রাখে। হজম প্রক্রিয়া সহজ করে, ফলে খাবার দ্রুত হজম হয়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এতে থাকা ক্যাটাচিন নামক উপাদান পেটের মেদ কমাতেও ভূমিকা রাখে। এল-থিয়ানিন নামক অ্যামাইনো অ্যাসিড অবসাদ বা ডিপ্রেশন কমাতেও ভূমিকা রাখে। স্মৃতিশক্তির উন্নতি করে। গ্রিন টি শরীরের ধমনি পরিষ্কার রাখে। এটি হার্টের ব্লকেজের ঝুঁকি এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
গ্রিন টির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, বি, ডি, ই, সি, ই, এইচ সেলেনিয়াম, ক্রোমিয়াম, জিংক, ক্যাফেইন, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। চা নিয়মিত পান করার অভ্যাস মানবদেহের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। শরীরে এনার্জি এবং স্ট্যামিনা ধরে রাখে। দেহের পানিশূন্যতা রোধেও গ্রিন টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিয়মিত গ্রিন টি পানে ধমনি শিথিল হয় এবং দেহে রক্ত প্রবাহের মাত্রা ভালো থাকে। গ্রিন টির লিকার দাঁতের ক্ষয়রোধ ও মাড়ি মজবুত করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই চা অত্যন্ত উপকারী। গ্রিন টিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোলাজেনকে উদ্দীপ্ত করে, যা ত্বকের টানটান ভাব রাখে। আর এ কারণেই গ্রিন টি বার্ধক্যের গতিকে ধীর এবং আয়ু বাড়ায়।
নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে ত্বকের রোদে পোড়াভাব কমে, চুল ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। গ্রিন টি ন্যাচারাল টোনার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। ব্যবহৃত গ্রিন টিও চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল দূর করে।
রাতে গ্রিন টি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে তা না হলে অনিদ্রা দেখা দিতে পারে। লেবু ও মধু সহযোগে গ্রিন টি পান করা ভালো। সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হলো সকালে বা বিকালে হালকা নাশতার পর।
দিনে অন্তত এককাপ গ্রিন টি শরীরকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে এবং দিনভর সতেজ ও সুস্থ থাকতে সহায়তা করে। এটি যেকোনো রকম ফ্লু, কাশি ও সর্দি থেকেও রক্ষা করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।