নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুরে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আলী হায়দার রতনকে (৫০) তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাসিনুর রহমান মিলনের আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে গত রোববার দিবাগত রাতে রাজধানীর শাহবাগে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে থেকে লোকজন আলী হায়দার রতনকে আটক করে রমনা থানায় সোপর্দ করে। পরে তাঁকে শ্রীপুর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, ‘আলী হায়দার রতনকে রাজধানীর রমনা থানা-পুলিশ গ্রেপ্তারের পর আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে।’
গ্রেপ্তার আলী হায়দার রতন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বরবাড়িচর গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে। তিনি সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের দূর সম্পর্কের ভাগনে।
তাঁর শ্বশুরবাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর গ্রামে। শ্বশুর প্রয়াত মোস্তাফিজুর রহমান বুলবুল ছিলেন শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
অভিযোগে জানা যায়, হত্যা ছাড়াও আলী হায়দার রতনকে বলা হয় ব্যাংক লুটের মাফিয়া। তাঁর বিরুদ্ধে কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ নেওয়া, খেলাপির তথ্য লুকিয়ে বড় জালিয়াতিসহ ভূমিদস্যুতার অভিযোগ রয়েছে।
ওবায়দুল কাদেরের দোর্দণ্ড ক্ষমতার দাপটে বীরদর্পে ওই সব অপকর্ম করেও তিনি ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আলী হায়দার রতন গা ঢাকা দেন। তাঁর বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় গত বছরের ২৮ আগস্ট একটি ও ৩ সেপ্টেম্বর আরেকটি হত্যা মামলা হয়। দুটি মামলার যথাক্রমে ৯ ও ৭ নম্বর আসামি তিনি।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শামীম আক্তার বলেন, ‘আলী হায়দার রতনের বিরুদ্ধে আলাদা দুটি হত্যা মামলা রয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলাম। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।’
গাজীপুরে গ্যাস বিস্ফোরণ বাবার পর ছেলেরও মৃত্যু, আশঙ্কাজনক মা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।