জুমবাংলা ডেস্ক : আনন্দের ভাষা যে কখনো কখনো কান্না হয়ে ঝরে তার প্রমাণ দিলেন গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের বোয়ালী গ্রামের আমেনা। এ আনন্দ লাখ কিংবা কোটি টাকা প্রাপ্তির আনন্দ নয়। গৃহহীন আমেনার কাছে ইট-কাঠ-পাথরের একটি আশ্রয়স্থল স্বপ্নের মতো। সেই স্বপ্ন পূরণের আনন্দই অশ্রু হয়ে ঝরে পড়ল দু’চোখ বেয়ে।
শুধু তাই নয়, গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিনের হাত থেকে ফলমূলের ডালি আর চাল-ডাল পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন বৃদ্ধা আমেনা বেগম।
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের বোয়ালী গ্রামের আমেনা বেগম স্বামী-ছেলে নিয়ে বসবাস করেন পলিথিনের ছাউনিতে। দিন কয়েক আগে তার এই দুর্দশা সচিত্র প্রকাশ হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তার দুঃখ বেদনা নজর কাড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। এরপর তার দুঃখ দূর করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশ আসে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিনের কাছে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে আমেনা বেগমের কাছে ছুটে যান জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন ও সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নবী নেওয়াজ। আমেনার ভাগ্যে লাগে দিনবদলের হাওয়া। আমেনা বেগমের একখণ্ড জমিতে সোমবার (১১ জানুয়ারি) নিজ হাতে পাকা ঘরের ভিত্তি দেন জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন। আমেনার হাতে তুলে দেন এক মাসের খাবার চাল-ডাল, শীতবস্ত্র, ফল-মূল।
জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন জানান, দ্রুত তার জন্য বয়স্ক ভাতার ব্যবস্থা করতে সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া আমেনার পরিবারকে সামাজিক নিরাপত্ত কর্মসূচির সুযোগ-সুবিধা দেয়ারও আশ্বাস দেন তিনি।
পলিথিনের ছাউনির বদলে পাকা ঘরে ঘুমাবেন এই দুঃস্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য দুই হাত তুলে প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করেন আমেনা বেগম। ঘর পাওয়ার আনন্দে কেঁদে ফেলেন তিনি।
আমেনা বেগমের জন্য দুই কক্ষ বিশিষ্ট পাকাঘরের ভিত্তি দেয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহরিয়া খান বিপ্লব, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নবীনেওয়াজ, ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ স্থানীয়রা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।