লাইফস্টাইল ডেস্ক: অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় গর্ভে সন্তানের বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে পেট, ঊরু এবং স্তনের ত্বক। যে জায়গায় পেশির বৃদ্ধি বা সঙ্কোচন হয়, সেখানে ত্বকের ওপরে পড়তে থাকে লম্বাটে দাগ। যাকে বলে স্ট্রেচ মার্কস। ছেলে বা মেয়ে বয়ঃসন্ধির সময়ে দ্রুত লম্বা হয়, কখনও ওজন কমে বা বাড়ে। এর ফলে ঊরু, হাত, কোমরে স্ট্রেচ মার্কস দেখা যায়। ওজন কমলে যেমন স্ট্রেচ মার্কস হয়, তেমনই দ্রুত ওজন বাড়লেও হয়।
এই স্ট্রেচ মার্কস দূর করার জন্য অনেকেই দামি দামি পণ্য এবং ডাক্তারের পেছনে টাকা ব্যয় করে থাকেন। তবে এই স্ট্রেচ মার্কস থেকে কিছু ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করে মুক্তি পাওয়া যাবে। ঘরোয়া যে উপায়ে স্ট্রেচ মার্কস থেকে মুক্তি পাবেন-
(১) লেবুর রসকে বলা হয় ন্যাচরাল ব্লিচিং। যেকোনো দাগ দ্রুত হালকা করতে সাহায্য করে। অর্ধেক পাতিলেবুর রস নিংড়ে নিয়ে নিংড়ানো লেবুটি রসে ডুবিয়ে স্ট্রেচ মার্কসের জায়গায় ঘষে নিন। তবে এক সপ্তাহ করেই ফলের আশা করলে হবে না।
(২) এই দাগ তুলতে সাহায্য করে হাই প্রোটিন ও অ্যামাইনো অ্যাসিড। দু’টিতেই আছে ডিমের সাদা অংশে। ডিমের সাদা অংশ তুলো দিয়ে লাগিয়ে নিন দাগের ওপরে। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
(৩) আলু কুরিয়ে তার রস দাগ হালকা করতে সাহায্য করে।
(৪) অলিভ অয়েলে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে, যা ত্বকের পক্ষে ভালো। জলপাই তেল দিয়ে রোজ গোসলের আগে দাগের ওপরে মালিশ করলে অনেকটাই হালকা হয়ে যাবে। আরো ভালো হয়, যদি জলপাই তেলের সঙ্গে চিনি ও লেবুর রস মিশিয়ে মালিশ করা যায়।
(৫) ১৫-৩০ মিনিট ক্যাস্টর অয়েলও লাগিয়ে রাখার পরে তার ওপরে একটা সুতির কাপড় জড়িয়ে হটপ্যাড দিয়ে সেঁক দিলে দ্রুত দাগ কমে।
(৬) চায়ের লিকারে থাকে ভিটামিন ও মিনারেল। বিশেষ করে ভিটামিন বি ১২, যা কালো দাগ তুলতে সাহায্য করে। এক কাপ লিকার ঠান্ডা করে তাতে লবণ মিশিয়ে দাগের জায়গায় লাগাতে পারেন।
(৭) শিয়া বাটার এবং কফি স্ক্রাব ব্যবহার করলেও দাগ দূর হয়।
ওষুধের চেয়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে দাগ তুলতে সময় বেশি লাগবে। কিন্তু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়াতে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ভরসা করা বুদ্ধিমানের কাজ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।