ঘি খাওয়ার উপকারিতার কথা কম-বেশি প্রায় সবাই জানেন। কিন্তু খালি পেটে ঘি খাওয়ার কথা আগে শুনেছেন কি? শুনে থাকলেও এর উপকারিতা সম্পর্কে তেমন জানা নেই নিশ্চয়ই? আপনি যদি নিয়মিত সকালে উঠে খালি পেটে ঘি খান তবে তার প্রভাব পড়বে শরীরে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত খালি পেটে ঘি খেলে অনেকগুলো উপকারিতা পাওয়া যায়। ঘিয়ের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য শরীরের নানা উপকারে আসে। চলুন জেনে নেওয়া যাক খালি পেটে ঘি খেলে কী হয়-
চর্বি দূর করে
ঘিয়ে থাকে অ্যামাইনো অ্যাসিড। এই অ্যাসিপ আমাদের পেটের বাড়তি চর্বি কমাতে সাহায্য করে। ওমেগা থ্রি, ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড থাকার ফলে তা অপ্রয়োজনীয় বডি ফ্যাট কমায়। তাই যারা ওজন কমাতে চান তারা খালি পেটে ঘি খেলে দ্রুতই উপকার পেতে পারেন। এতে শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমবে এবং সেইসঙ্গে দূর হবে বাড়তি চর্বিও।
মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ে
আমাদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে কাজ করে ঘি। এতে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের কাজ সঠিকভাবে করতে সাহায্য করে। অনেকেই হয়তো জানেন না যে ফ্যাটের সবচেয়ে ভালো উৎস হলো ঘি। সেইসঙ্গে ঘিয়েথোকে নানা রকম প্রোটিন। এর ফলে ঘি খেলে তা মস্তিষ্কে যথেষ্ট পরিমাণ প্রোটিন পৌঁছে দেয়। যা আরও বেশি ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। নিয়মিত খালি পেটে ঘি খেলে তা স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে কাজ করে।
অস্টিয়োপোরোসিস দূরে রাখে
আমাদের বিভিন্ন হাড়ের জয়েন্টে একটি লিকুইড স্বাভাবিক লুব্রিকেন্ট হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত ঘি খালি পেটে ঘি খেলে সেই লুব্রিকেন্ট তৈরি হয়। যে কারণে জয়েন্টের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর হয়। তাই যাদের হাড়ের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত খালি পেটে ঘি খেলে উপকার পাবেন। এছাড়া ক্যালসিয়াম নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে ঘি। তাই নিয়মিত এটি খালি পেটে খেতে পারেন।
রক্তসঞ্চালন ভালো হয়
আমাদের পুরো শরীরেই রক্ত সঞ্চালনে কাজা করে ঘি। কীভাবে? আপনি যদি সকালে খালি পেটে ঘি খেলে দিনটা শুরু করেন তাহলে পুরো দিনটাই শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে। খালি পেটে ঘি খেলে তা শরীরের বিভিন্ন কোষে ফ্রির্যাডিকেলগুলিকে কমাতে সাহায্য করে। সঠিক রক্তসঞ্চালন থাকার কারণে সুস্থ থাকাও সহজ হয়। সকালে খালি পেটে ঘি খাওয়ার পর আধা ঘণ্টা কিছু খাবেন না। আর খুব বেশি নয়, এক চামচ ঘি খেলেই যথেষ্ট। বেশি খেলে তা শরীরের জন্য উপকারী নাও হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।