প্রতিটি বাড়ির রান্নাঘরে ঘি ব্যবহার করা হয়। গরম ভাত থেকে পরোটা—সব কিছুতেই লাগে ঘি। কিন্তু ঘি খাওয়ার বিপদও আছে। কারণ ঘি ভেজাল না খাঁটি; তা অনেকের পক্ষে বোঝার উপায় থাকে না। অনেক সময় নারকেল তেল মিশিয়েও ঘি বিক্রি করা হয়। কী করে বুঝবেন এই ঘি খাঁটি নাকি নকল?
ঘিয়ের প্রচুর পুষ্টিগুণ। এতে উন্নত মানের চর্বি আছে। এগুলি শরীরের প্রচুর উপকার করে। তাই নিয়মিত ঘি খাওয়া খুবই ভালো। তবে লক্ষ্য রাখবেন, এই ঘি যেন খাঁটি হয়। যেভাবে চিনবেন খাঁটি ঘি-
গরম করে পরীক্ষা: বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করার সবচেয়ে সহজ উপায় হল এটি একটি ফ্রাইং প্যানে গলানো। মাঝারি আঁচে একটি প্যান রাখুন এবং কিছুক্ষণ গরম হতে দিন, এবার এতে এক চামচ ঘি দিন। যদি ঘি সঙ্গে সঙ্গে গলে গাঢ় বাদামি বর্ণ ধারণ করে তাহলে তা খাঁটি ঘি। যদি গলতে সময় লাগে এবং ফ্যাকাশে হলুদ হয়ে যায়, তবে তা ভেজাল।
ডবল বয়লার প্রক্রিয়া: প্রায়শই নারকেল তেল দেশি ঘিয়ে মিশিয়ে দেওয়া হয়। একটি কাচের পাত্রে কিছু ঘি ঢেলে ডাবল-বয়লার প্রক্রিয়া চালান। এবার এই মিশ্রণটি একটি বয়ামে রেখে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে দিন। কিছুক্ষণ পর যদি ঘি আলাদা আলাদা স্তরে শক্ত হয়ে যায়, তবে ঘিতে ভেজাল রয়েছে। আর যদি পুরোটা এক সঙ্গে জমাট বাঁধে, তাহলে তা খাঁটি।
তালুতে নিয়ে পরীক্ষা: তালুতে নিয়ে পরীক্ষা করেও বোঝা যায়, ঘি ঘাঁটি কি না। তালুতে এক চামচ ঘি রাখুন এবং এটি গলে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ঘি গলতে শুরু করলে, তা খাঁটি। আর যদি একই রকম জমাট বেঁধেই থাকে, থাকলে ভেজাল।
টেস্টটিউবে পরীক্ষা: টেস্টটিউবে এক টেবিল চামচ ঘি রেখে গরম করুন। এবার এক চিমটি চিনির সঙ্গে সমপরিমাণ ঘন হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড মেশান। টেস্টটিউব ঝাঁকান এবং সবটা ভালো করে মেশান। নীচের স্তরে যদি গোলাপী বা লাল রঙের দানা দেখা যায়, তবে ঘি ভেজাল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।