জুমবাংলা ডেস্ক : রংপুরের মিঠাপুকুরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী মোংলা কুজুর (৬০) চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড মামলায় একমাত্র ও প্রধান আসামি পাষণ্ড ছেলে জীবন কুজুরকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কুড়ালটিও উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) জীবন কুজুরকে আদালতের মাধ্যমে হাজতে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই আতুল কুজুর মাস্টার বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ সোমবার মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে জীবন কুজুরকে গ্রেপ্তার করে।
এর আগে গত শুক্রবার (১১ জুন) উপজেলার বড় হযরতপুর ইউনিয়নের রামেশ্বরপাড়া গ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পল্লীতে পারিবারিক বিরোধের জেরে মোংলা কুজুরের একমাত্র ছেলে জীবন কুজুর তাঁর ঘুমন্ত বাবাকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর পালিয়ে যায়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মোংলা কুজুর একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতেন। পারিবারিক বিরোধ নিয়ে সম্প্রতি পিতা-পুত্রের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হলে ১১ জুন বিকেলের দিকে নিজ শয়নকক্ষে ঘুমন্ত অবস্থায় মোংলা কুজুরের মাথায় কুড়াল দিয়ে কোপ মারে ছেলে জীবন কুজুর। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই মোংলা কুজুরের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে পালিয়ে যায় জীবন কুজুর। অবশেষে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার শঠিবাড়ি এলাকা থেকে সোমবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে। তার দেয়া তথ্যমতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কুড়ালটি তার বসতবাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জীবন কুজুর তার বাবাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে জানায় পুলিশ।
মিঠাপুকুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাকির হোসেন বলেন, জীবন কুজুর পারিবারিক বিরোধের কারণে তার পিতাকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে। আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।