জুমবাংলা ডেস্ক : গাজীপুরে বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক পোশাককর্মী। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় আরও দুজন পলাতক রয়েছে। ভুক্তভোগী সেই কিশোরী নিজে বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন।
আসামিরা হলেন- উপজেলার ধামলই গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে সুজন (২৪), মুলাইদ গ্রামের মুন্না (২২), মাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের সজল মাস্টারের বাড়ির কেয়ারটেকার দুলু (৪৫) ও মো. বাবুল (৪৮)। এদের মধ্যে সুজন ও বাবুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম সারোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ভিকটিমের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, উপজেলার মাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের একটি বাড়ির কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করেন দুলু ও বাবুল।
ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া দম্পতির এক বান্ধবী পার্শ্ববর্তী ভালুকা থেকে বৃহস্পতিবার ওই বাড়িতে বেড়াতে আসে।
পরে রাত ২টার দিকে কেয়ারটেকার দুলু ও বাবুল ঘুমিয়ে থাকা ওই ভিকটিমকে তার বান্ধবীর পাশ থেকে তুলে নিয়ে পাশের একটি কক্ষে আটকে রাখে। পরে সুজন ও মুন্না ভিকটিমকে হত্যার হুমকি দিয়ে পর্যায়ক্রমে একাধিক ধর্ষণ করেন। এছাড়া ঘর থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকার স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায় ধর্ষণকারীরা।
শ্রীপুর থানার ওসি খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, মেয়েটির অভিযোগের পর আমরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। বাকি দুজন আসামিকে ধরার জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।