ঘুমের সময় দেহের প্রায় সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় থাকে। অবশ্য শ্বাসপ্রশ্বাস, হৃদ্যন্ত্র, রক্ত সঞ্চালন চলতে থাকে। সাধারণভাবে শরীর বিশ্রামে চলে যায়। এই অবসরে মস্তিষ্কের বিশেষ কিছু অংশ জরুরি কাজ করে। সারা দিন আমরা যা চিন্তাভাবনা করি, চলাফেরা করি, কথা বলি, সেসব পর্যালোচনা করে জরুরি বিষয়গুলো মস্তিষ্ক তার স্মৃতিভান্ডারের বিশেষ বিশেষ অংশে সাজিয়ে রাখে।
অপ্রয়োজনীয় তথ্যগুলো ঝেড়েমুছে সরিয়ে দেয়। মস্তিষ্কের এই কাজের সময় যেন কোনো গন্ডগোল না হয়, সে জন্য স্বপ্ন দেখা শুরু হয়। এ সময় ঘুমন্ত অবস্থায় চোখের মণি বিশেষ ছন্দে নড়াচড়া করে। ঘুমন্ত মানুষ সেটা টের পায় না।
স্বপ্নে মশগুল হয়ে থাকে। কিন্তু কোনো স্বপ্ন যদি একেবারে বাস্তবের মতো হয়ে ওঠে, ঘুমন্ত মানুষকে বিচলিত করে বা স্বপ্নের মধ্যে মানুষ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে, তাহলে হয়তো কখনো অবচেতন মনে কথা বলে। এই কথা স্পষ্ট শোনায় না, অনেকটা জড়িয়ে জড়িয়ে যায়। ঘুমন্ত মানুষ টের পায় না। পাশের কেউ হয়তো তাকে জাগিয়ে দিলে সে ঘুম ভেঙে উঠে বলে, একেবারে বাস্তবের মতো স্বপ্ন দেখছিলাম। এর মধ্যে কোনো রহস্য নেই।
অনেকে মনে করেন, স্বপ্নটা বোধ হয় বাস্তবে ঘটবে। আসলে এই ঘুমের ঘোরে কথার সঙ্গে বাস্তবে কিছুর মিল থাকার কোনো বিজ্ঞানসম্মত কারণ নেই। তবে কেউ যদি সারা দিন অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটার আশঙ্কায় থাকেন, তাহলে রাতে দুঃস্বপ্ন দেখতে পারেন। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে ঘটনাটা ঘটবে। এটা কুসংস্কার। এর সঙ্গে বিজ্ঞানের কোনো সম্পর্ক নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।