চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রামে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৬ হাজার ২৮৮ জন। এদের মধ্যে বন্দর নগরীতে ৪ হাজার ২৭৫ জন এবং বিভিন্ন উপজেলায় ২ হাজার ১৭ জন। আর ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম জেলায় মৃত্যু হয়েছে ১৪১ জনের।
রবিবার সকালে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের চারটি ল্যাব এবং কক্সবাজারের একটি ল্যাবে ৬৭০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় আরও ১৯৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া গেছে। নতুন শনাক্তদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরের ১২৮ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার ৬৬ জন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০ জন সুস্থ্য হয়েছেন। এ নিয়ে চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হলেন ৬৪০ জন।
ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান, শনিবার রাত পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)-তে ২৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৯৭ জনের করোনা পজিটিভ মিলেছে। যাদের মধ্যে ৬২ জনই নগরের ও বাকি ৩৫ জন বিভিন্ন উপজেলার।
এ সময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সেখানে ৬২ জনের দেহে করোনা জীবাণু পাওয়া যায় । যাদের মধ্যে ৫৮ জন নগরের ও ৪ জন বিভিন্ন উপজেলার।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটির (সিভাসু) ল্যাবে ১২৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গেছে ১৬ জনের শরীরে। এদের মধ্যে ৮ জন নগরের ও ৮ জন বিভিন্ন উপজেলার।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৬০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গেছে। তারা সবাই বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
এছাড়া, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে মাত্র ১ জনের।
অন্যদিকে, এদিন চট্টগ্রামের বেসরকারি করোনা পরীক্ষাকেন্দ্র ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের ল্যাবের করোনা পরীক্ষার ফলাফলের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
উপজেলা পর্যায়ে নতুন করোনা শনাক্ত ৬৬ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বোয়লখালী উপজেলায়। সেখানে ১৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। এছাড়া চন্দনাইশে ১১ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া য়ায়। অন্যান্য উপজেলাগুলোর মধ্যে রাউজানে ১০ জন, হাটহাজারী উপজেলায় ৯ জন, মিরসরাইয়ে ৮ জন, সীতাকুন্ডে ৭ জন এবং সাতকানিয়া, লোহাগাড়া ও বাঁশখালীতে ১ জন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সিনিয়ার কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. আব্দুর রব বলেন, ‘শনিবার দুপুর আড়াই টার দিকে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নগরীর চকবাজারের এক বাসিন্দার মৃত্যু হয়। ৭৭ বছর বয়সী ওই রোগীর করোনার উপসর্গ ছিল। এরপর একইদিন বিকেল ৩টার দিকে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লোহাগাড়া উপজেলার আরও এক রোগী মারা যান। তার বয়স ৭৩ বছর। তার দেহেও করোনার উপসর্গ ছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।