চট্টগ্রাম শহরে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ২ জন

জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রাম জেলায় করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শহরের ২ বাসিন্দা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। ১৫ উপজেলায় একজন পজিটিভও পাওয়া যায়নি। সংক্রমণ হার ০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ সময় করোনায় কেউ মারা যায়নি।

প্রতীকী ছবি

করোনা সংক্রান্ত জেলার হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, চট্টগ্রামে করোনা পরীক্ষার জন্য অনুমোদিত ১৭ ল্যাবরেটরির মধ্যে ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি,নগরীর ৯ ল্যাব ও এন্টিজেন টেস্টে গতকাল ৪৩৬ জনের নমুনায় ২ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা এখন ১ লাখ ২৬ হাজার ৬০৮ জন। এদের মধ্যে শহরের ৯২ হাজার ৭৮ ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৫৩০ জন। গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামে কোনো রোগির মৃত্যু হয়নি। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬২ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭৩৪ ও গ্রামের ৬২৮ জন। ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে একজন করে ভাইরাসবাহক শনাক্ত হয়। চমেকহা’য় একটি ও ইম্পেরিয়ালে ৪৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে গতকাল সবচেয়ে বেশি ১২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ ছাড়া, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৫৯, বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৪, বেসরকারি ল্যাবরেটরি আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২৭, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ৫২, এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ৩৭, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৩৪ ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। শহর ও গ্রামে নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ১০ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হয়। আট ল্যাব ও এন্টিজেন টেস্টে ৩৮৯ নমুনার সব গুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।

দিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, ল্যাব এইড, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ও এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পরীক্ষার জন্য যায়নি।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে চমেকহা’য় শতভাগ ও ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং বিআইটিআইডি, আরটিআরএল, শেভরন, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাব ও এন্টিজেন টেস্টে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। সূত্র: বাসস