শুভাশীষ ভট্টাচার্য, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম-১০ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোঃ মহিউদ্দিন বাচ্চু। মাত্র তিন মাস আগে উপনির্বাচনে তিনি প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এবারও তিনি দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। তবে তার সাথে এই আসনে আলোচনার কেন্দ্রে আছেন চট্টগ্রাম সিটির সাবেক মেয়র মনজুর আলম। স্থানীয়দের কাছে জনপ্রিয় এই প্রার্থীর সাথে জিততে বেগ পেতে হবে বাচ্চুকে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর চারটি আসনের মধ্যে চট্টগ্রাম-১০ আসন গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। এই আসনের সংসদীয় সীমানায় আছে নগরীর হালিশহর, পাহাড়তলী, খুলশী এবং ডবলমুরিং এলাকা। এসব এলাকায় দশকের পর দশক ধরে নানা উদ্যোগ নিয়ে স্থানীয়দের পাশে ছিলেন মনজুর। বর্তমানে মোস্তফা হাকিম ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে নিয়মিত নানা জনকল্যাণমুখী কাজ করে যাচ্ছেন তিনি ও তার পরিবার।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি’র সমর্থন নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হলেও আওয়ামী লীগের সাথে দীর্ঘ সময়ে ঘনিষ্ঠতা ছিল তার। মেয়রের পদ ছাড়ার পর আওয়ামী লীগের সাথে তিনি আবারো যোগাযোগ বাড়িয়েছেন। বঙ্গমাতা ও শেখ রাসেলের জন্ম মৃত্যু বার্ষিকীতে তিনি প্রতি বছর অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
এছাড়াও স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দিরসহ নানা প্রতিষ্ঠানে তিনি নানাভাবে সহযোগীতা করে আসছেন।
চট্টগ্রাম সিটি মেয়র হওয়ার আগে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করেছেন মনজুর আলম। সেই সময় তিনি আওয়ামী ঘরানার নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সবকিছু মিলিয়ে এই সংসদীয় আসনে মনজুরের নিজস্ব ভোট ব্যাংক রয়েছে।
জানা যায়, ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিলেও ওই নির্বাচনে প্রয়াত আওয়ামীলীগ নেতা আফসারুল আমীনের কাছে পরাজিত হন। ২০১০ সালে বিএনপি’র সমর্থন নিয়ে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তাঁর ‘রাজনৈতিক গুরু’ হিসেবে পরিচিত সাবেক মেয়র প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে পরাজিত করে চমক সৃষ্টি করেন মনজুর। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি বিএনপি’র চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাও হয়েছিলেন।
২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত মেয়র নির্বাচনে তিনি আবারও বিএনপি’র সমর্থনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেন। মেয়র নির্বাচনের পর তিনি রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। ব্যস্ত হয়ে পড়েন ব্যবসা ও সামাজিক কর্মকাণ্ড নিয়ে। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে ওই নির্বাচনে অংশ নেননি মনজুর।
জানতে চাইলে মনজুর আলম বলেন, ‘এই এলাকার মানুষের সাথে আমার দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক। সব সময় মানুষের জন্য, মানুষের কল্যাণে কাজ করার চেষ্টা করেছি। এলাকার সাধারণ ভোটাররাও আমার পাশে আছে। আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।’
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, এই আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মেয়র মনজুর ছাড়াও আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ মাহমুদ, সাবেক মন্ত্রী আফসারুল আমীনের ছেলে ফয়সাল আমীনসহ ১২ জন আওয়ামী ঘরানার স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিভিন্ন দলের প্রার্থী রয়েছে।
বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।