শুভাশীষ ভট্টাচার্য্য, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম-১১ আসনের এমপি এম এ লতিফ গত ১৫ বছরে বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃত করা, জামায়াতের সাথে ঘনিষ্ঠতা ও নেতাকর্মীদের অসম্মান করাসহ নানা কারণে সমালোচিত হয়েছেন। কিন্তু এরপরও শেষ পর্যন্ত নৌকার মনোনয়ন বাগিয়ে নিয়েছেন তিনি।
তবে স্থানীয় নেতাকর্মী এবং নগর আওয়ামী লীগের সাথে তাঁর দূরত্বসহ নানা সমীকরণে বেকায়দায় এই প্রার্থী। এই আসনে তাঁর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউল হক সুমন।
গত বুধবার প্রথমবারের মতো প্রচারণায় নেমে ‘আর ভদ্র থাকবেন না’ বলে ঘোষণা দিয়েছেন লতিফ। এমনকি তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অকথ্য ভাষায় প্রকাশ্যে গালিও দিয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারণায় অনিয়ন্ত্রিত বক্তব্যের জন্য লতিফকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইছে।
অন্যদিকে নগর ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসংগঠনের বড় অংশ সুমনকে জেতাতে মাঠে নেমেছেন। এ কারণে নগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়কে ‘কাশিমবাজার কুঠি’ এবং নেতাদের ‘ফ্রিডম পার্টির লোক’ বলে আখ্যায়িত করে সমালোচিত হচ্ছেন লতিফ। নির্বাচনী প্রচারণার প্রথম তিনদিন লতিফের দেখা পাননি ভোটাররা। এরমধ্যে নগর ও স্থানীয় নেতাদের নিয়ে জোরালো প্রচারণা চালিয়েছেন কেটলি প্রতীকের প্রার্থী জিয়াউল হক সুমন।
গত তিন মেয়াদে নানা সমীকরণে লতিফ নৌকার টিকেটে এমপি হলেও এবার সুমনের সাথে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাসে ভোটারদের মাঝেও পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। আলাপকালে একাধিক ভোটার স্বতন্ত্র প্রার্থী সুমনকে ভোট দেওয়ার পক্ষে বিপক্ষে নানা কথা বলতে শোনা গেছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমন বলেন, ‘উনার (লতিফ) সাথে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই। আমার সাথে তৃণমূল আছে। আমি জনগণের ভালোবাসা এবং সমর্থন দুটোই পাচ্ছি। আশা করছি আমার আসনের ১৫২ কেন্দ্রেই কেটলি প্রতীকের জয় হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।