শুভাশিষ ভট্টাচার্য, চট্টগ্রাম: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য এম এ লতিফ। বিষয়টি নিয়ে হতাশ এই আসনের তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। তাদের হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন। তৃণমূলের পাশাপাশি সুমনকে জেতাতে একাট্টা নগর আওয়ামী লীগের নেতারাও।
বর্তমান এমপি লতিফ ২০০৮ সালে প্রথমবার মনোনয়ন পাওয়ার আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না। এক সময়ের ব্যবসায়ী নেতা লতিফ এমপি হওযার পর নগর আওয়ামী লীগের সদস্য হন। সেজন্য তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা লতিফকে এবার ছাড় দিছে নারাজ।
গত সোমবার নগরীর সল্টগোলা ক্রসিং এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন সুমন।
এই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। সভায় নগর আওয়ামী লীগের আরও কয়েকজন নেতার পাশাপাশি ওই আসনের আওতাধীন ১০ ওয়ার্ডের বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরসহ হাজারো নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
জনতে চাইলে আ জ ম নাছির বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট করেছেন ডামি প্রার্থী দেওয়া যাবে। এই বক্তব্যের পর চট্টগ্রামে অনেক আসনে আওয়ামী লীগের বহু নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছে পোষণ করেছেন। চট্টগ্রাম-১১ আসনে জিয়াউল হক সুমনও এর মধ্যে একজন। সুমন আমাকে দাওয়াত দেওয়ায় আমি সভায় অংশ নিয়েছি।
এবার এই আসনে নাছিরের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন নগর আওয়ামী লীগের দুই সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন ও আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চুও।
আ জ ম নাছিরের পাশাপাশি খোরশেদ আলম সুজনের সমর্থন পেলে লতিফের সাথে প্রতিদ্বন্ধীতায় সুমন এগিয়ে যাবেন বলে প্রত্যাশা করছের এই আসনের তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।