জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন ২৯৮ জনের শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ। একই সময়ে আরোগ্যলাভ করেছে ৫৫৪ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, এন্টিজেন টেস্ট এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ও ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি এবং নগরীর আটটি ল্যাবে শনিবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৯৭২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ২৯৮ জন পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১৫৩ জন ও ১৩ উপজেলার ১৪৫ জন।
উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে রাঙ্গুনিয়ায় সর্বোচ্চ ৩০ জন, হাটহাজারীতে ২৬ জন, রাউজানে ২৩ জন, বোয়ালখালীতে ২২ জন, ফটিকছড়িতে ১৪ জন, আনোয়ারায় ৮ জন, মিরসরাইয়ে ৫ জন, সীতাকু- ও লোহাগাড়ায় ৪ জন করে, সন্দ্বীপ ও সাতকানিয়ায় ৩ জন করে, পটিয়ায় ২ জন এবং বাঁশখালীতে ১ জন রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৯৭ হাজার ১৩৩ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭১ হাজার ৪ জন ও গ্রামের ২৬ হাজার ১২৯ জন।
গতকাল করোনায় শহরের ২ ও গ্রামের ৬ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ১৭৮ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ৬৬৭ জন ও গ্রামের ৫১১ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৫৫৪ জন। ফলে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৬৫ হাজার ১৫৯ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৯ হাজার ৩১২ জন ও ঘরে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হয়েছেন ৫৫ হাজার ৮৪৭ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ২৪৪ জন এবং ছাড়পত্র নেন ৩৬৫ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৩ হাজার ৭১১ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৭৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৪৩ ও গ্রামের ২০ জনের দেহে ভাইরাস শনাক্ত হয়। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ২৬৫ নমুনার মধ্যে নগরের ১৯ টি ও গ্রামের ৩৮ টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ২২০ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ২৮ ও গ্রামের ১৪ জন আক্রান্ত চিহ্নিত হন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে নগরের ১১ জন ও গ্রামের ৫০ জনের শরীরে জীবাণুর অস্তিত্ব মিলে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ১৬৯ জনের এন্টিজেন টেস্টে শহরে ১১ ও গ্রামে ১২ জন করোনায় আক্রান্ত বলে জানানো হয়। বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ১৬ নমুনায় গ্রামের ৫ টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে ২৪০ টি নমুনা পরীক্ষা করে গ্রামের ৩ টিসহ ১৮ টিতে, মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৪৪ টি নমুনার মধ্যে শহরের ১০ ও গ্রামের ৭ টিতে, মেডিকেল সেন্টারে ২৪ নমুনায় শহরের ৬ টি এবং এপিক হেলথ কেয়ার হাসপাতালে ৪৮ নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের একটিসহ ৬ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এদিন চট্টগ্রামের ১ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় এটির ফলাফল নেগেটিভ আসে।
ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে বিআইটিআইডি’তে ৮ দশমিক ৪১ শতাংশ, সিভাসু’তে ২১ দশমিক ৫১, চমেকে ১৯ দশমিক ০৯, চবি’তে ৩১ দশমিক ১২, এন্টিজেন টেস্টে ১৩ দশমিক ৬১, আরটিআরএলে ৩১ দশমিক ২৫, শেভরনে ৭ দশমিক ৫০, মা ও শিশু হাসপাতালে ৩৮ দশমিক ৬৩, মেডিকেল সেন্টারে ২৫, এপিক হেলথ কেয়ারে ১২ দশমিক ৫০ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।