জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে এক সপ্তাহে নতুন ৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের ৩ জন শহরের এবং একজন গ্রামের বাসিন্দা। সংক্রমণের হার ০ দশমিক ২২ শতাংশ।
জেলার করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজসহ বিগত সাতদিনের রিপোর্ট থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, চট্টগ্রামের জন্য নির্ধারিত ১৭ ল্যাবরেটরির মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), ল্যাব এইড, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপতাল ল্যাবে গত এক সপ্তাহে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ২০৯, আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৭, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৬৪৬, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২১৮, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৭৬, মেডিকেল সেন্টার হাসপতালে ১১৮, এপিক হেলথ কেয়ারে ১৮৪, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৮৫, এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ১৭ এবং নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৩৩ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হয়। নয় ল্যাবরেটরি ও এন্টিজেন টেস্টে মোট পরীক্ষিত ১৫৯৩ নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট পাওয়া যায়। তবে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ৯৭ জনের নমুনায় দুই দিনে ২ জন এবং বেসরকারি মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৯২ জনের নমুনা পরীক্ষায় দুই দিনে ২ জন পজিটিভ মিলে। চমেকহা’য় গড় সংক্রমণ হার ২ দশমিক ০৬ এবং মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ২ দশমিক ১৭ শতাংশ।
নতুন ৪ জনসহ জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ২৬ হাজার ৬৩৮ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯২ হাজার ৯৯ জন ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৫৩৯ জন। গত সাত দিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে শহর ও গ্রামের কেউ মারা যাননি। এতে জেলায় করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬২ জনই রয়েছে। এদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭৩৪ জন ও গ্রামের ৬২৮ জন।
এদিকে, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থাপিত ল্যাব সরিয়ে নেয়া হয়েছে। শেভরনসহ অনুমোদনপ্রাপ্ত চার ল্যাবরেটরি তাদের যন্ত্রপাতিসহ সকল সরঞ্জাম নিয়ে এসেছে।
এ কেন্দ্রের চিফ কো-অর্ডিনেটর পুলক পাড়িয়াল বাসসকে জানান, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাত তাদের দেশে যাত্রার আগে স্ব স্ব যাত্রীর দেশের বিমানবন্দরে পরীক্ষিত আরটিপিসিআর রিপোর্ট দেখানোর বাধ্যবাধকতার তুলে দেয়ার পরপরই শাহ আমানতের এ ল্যাব গুরুত্ব হারিয়ে ফেলে। এখন টিকাকার্ড নিয়েই সংযুক্ত আরব আমিরাতের যেকোনো বিমানবন্দর অতিক্রম তরা যায়।’
পুলক পাড়িয়াল বলেন, ‘এ ল্যাবরেটরি ৪০ থেকে ৪৫ দিন সচল ছিল। খুব কম সময়ের মধ্যে গুটিয়ে যাওয়ায় তারা যন্ত্রপাতি সরঞ্জাম ক্রয়সহ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্র্রস্থ হয়েছেন।’ সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।