জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ও হার দিন দিন কমছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৩৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণ হার ১ দশমিক ৭২ শতাংশ। এ সময় করোনায় কোনো রোগির মৃত্যু হয়নি।
চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠনো প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, নগরীর ১০ ল্যাব ও এন্টিজেন টেস্টে গতকাল রোববার চট্টগ্রামের ২ হাজার ২৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে নতুন ৩৯ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের ৩৪ জন ও তিন উপজেলার ৫ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে ফটিকছড়ি ও পটিয়ায় ২ জন করে এবং রাউজানে একজন। জেলায় করোনায় মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৮৫ জন। এর মধ্যে শহরের ৯১ হাজার ৬৯৪ ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৩৯১ জন। গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামে কারো মৃত্যু হয়নি। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬২ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭৩৪ ও গ্রামের ৬২৮ জন।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হ্রাসের প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ৪৭ দিন পর আজ প্রথম পঞ্চাশের কম রোগি শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলার মধ্যে ১২টিতে কোনো নতুন রোগি পাওয়া যায়নি। বিগত ৩ জানুয়ারি চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে এর চেয়ে কম নতুন ৩৫ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। সংক্রমণ হার ছিল ২ দশমিক ৯৮ শতাংশ। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত কোনো রোগির মৃত্যু হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক আজকের রিপোর্টে দেখা যায়, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ল্যাবে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৬২৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে শহরের ৩ জন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হলে তাদের যাত্রা বাতিল করা হয়। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ২১৯টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৭টিতে করোনার জীবাণু থাকার প্রমাণ মিলেছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৮১ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৩ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় ল্যাবে ৩৭টি নমুনার একটিতেও করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি। নগরীর বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে পরীক্ষিত ৪টি নমুনার একটির পজিটিভ রেজাল্ট আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৩৯২ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে শহরের ৫ ও গ্রামের ২ জনের দেহে জীবাণুর উপস্থিতি মিলে। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২৫৮টি নমুনায় শহরের ৫টিতে জীবাণুর অস্তিত্ব ধরা পড়ে। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ১৮২ নমুনা পরীক্ষা করে শহরের ২টিতে ভাইরাসের উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। এপিক হেলথ কেয়ারে ৯৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৫ জনের দেহে সংক্রমণ চিহ্নিত হয়। এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ২৮২টি নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ২টির রিপোর্ট পজিটিভ হয়। এভারকেয়ার হাসপাতাল ল্যাবে ৫৪ জনের নমুনায় শহরের ৩ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন।
নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৩৫ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে গ্রামের একজন সংক্রমিত বলে জানানো হয়।
এদিন, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ও ল্যাব এইডে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবেও চট্টগ্রামের কোনো নমুনা পরীক্ষার জন্য যায়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ০ দশমিক ৪৮ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ৩ দশমিক ১৯, চমেকহা’য় ৩ দশমিক ৭০, চবি’তে ০ ও আরটিআরএলে ২৫ শতাংশ, শেভরনে ১ দশমিক ৭৮, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১ দশমিক ৯৩, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১ দশমিক ১০, এপিক হেলথ কেয়ারে ৫ দশমিক ১০, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ০ দশমিক ৭১, এভারকেয়ার হাসপাতালে ৫ দশমিক ৫৫ এবং এন্টিজেন টেস্টে ২ দশমিক ৮৫ শতাংশ। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।