জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা, হার ও মৃত্যু কমেছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৬০৩ জনের নমুনায় জীবাণু শনাক্ত হয়। সংক্রমণের হার ৩১ দশমিক ৬২ শতাংশ। এ সময়ে করোনায় ৩ রোগীর মৃত্যু হয়। জেলায় মোট আক্রান্ত ৬৪ হাজার অতিক্রম করে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, এন্টিজেন টেস্ট, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজসহ ১১টি ল্যাবে গতকাল শুক্রবার ১ হাজার ৯০৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন ৬০৩ জন পজিটিভ শনাক্ত হন।
এর মধ্যে শহরের ৪৩৬ ও ১১ উপজেলার ১৬৭ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে মিরসরাইয়ে সর্বোচ্চ ৩৬, রাউজানে ২৮, সীতাকুন্ডে ২৬, ফটিকছড়ি ও হাটহাজারীতে ২০ জন করে, রাঙ্গুনিয়ায় ১৯, বোয়ালখালীতে ১০, সন্দ্বীপে ৪, পটিয়ায় ২ জন এবং সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ায় ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনায় মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৬৪ হাজার ২৯৯ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ৪৯ হাজার ৭১৮ ও গ্রামের ১৪ হাজার ৫৮১ জন।
গতকাল করোনায় শহরের ২ জন ও গ্রামের এক রোগীর মৃত্যু হয়। মৃতের সংখ্যা এখন ৭৫৭ জন। এতে শহরের ৪৯০ ও গ্রামের ২৬৭ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ১৬২ জন। জেলায় মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৫০ হাজার ৭৯৯ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬ হাজার ৯০৬ জন এবং বাসায় থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৪৩ হাজার ৮৯৩ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ১৪০ জন। ছাড়পত্র নেন ১৫৫ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৬৭৯ জন।
উল্লেখ্য, গতকাল ৩ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে চলতি মাসের প্রথম নয় দিনে ৫০ জনের মৃত্যু হলো। এছাড়া, আবারো ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার পূর্ণ হয়েছে। ৮ জুলাই ৭৮৩ জনের শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হলে জেলায় মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৩ হাজার ৬৯৬ জনে। গতকালের ৬০৩ জন যুক্ত হলে মোট সংখ্যা ৬৪ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এদিকে, এবার দ্বিতীয় বারের মতো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করোনায় আক্রান্ত এক হাজার পূর্ণ হয়। এর আগে মোট আক্রান্ত ৬১ হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৬ জুলাই ৬২ হাজার অতিক্রম করে।
এদিকে, করোনাকালের সর্বোচ্চ ৭৮৩ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে ৮ জুলাই। সংক্রমণ হার ৩৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। তবে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হার নির্ণিত হয় ৬ জুলাই ৩৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এদিন ৬১১ জনের নমুনায় ভাইরাসের উপস্থিতি মিলে । আক্রান্ত ৪ রোগী মৃত্যুবরণ করেন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এখানে ৭৭১ জনের নমুনায় শহরের ১৩০ ও গ্রামের ৭৭ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২২০টি নমুনায় শহরের ৪১ ও গ্রামের ৩২টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৯৯ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৪৩ ও গ্রামের ১৬ জন করোনা শনাক্ত হন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১২১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৪৫ ও গ্রামের ২৬ জন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ৮৮ জনের এন্টিজেন টেস্টে শহরের ৩৪ জনের রেজাল্ট পজিটিভ আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে ১৮৯ নমুনা পরীক্ষা করে শহরের ২২ ও গ্রামের ৭টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৮২টি নমুনায় শহরের ৫৯টি, মা ও শিশু হাসপাতালে ৩৭টি নমুনায় গ্রামের ৩টিসহ ২২টি, মেডিকেল সেন্টারে ২০টি নমুনায় গ্রামের একটিসহ ৯টি এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ৬৯ নমুনায় গ্রামের ৫টিসহ ৪০টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এদিন চট্টগ্রামের ১১ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ এদিন কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক গতকালের রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে বিআইটিআইডি’তে ৩৭ দশমিক ২২ শতাংশ, সিভাসু’তে ৩৩ দশমিক ১৮, চমেকে ২৯ দশমিক ৬৫, চবি’তে ৫৮ দশমিক ৬৮, এন্টিজেন টেস্টে ৩৮ দশমিক ৬৩, শেভরনে ১৫ দশমিক ৩৪, ইম্পেরিয়ালে ৩২ দশমিক ৪২, মা ও শিশু হাসপাতালে ৫৯ দশমিক ৪৬, মেডিকেল সেন্টারে ৪৫ শতাংশ, এপিক হেলথ কেয়ারে ৫৭ দশমিক ৯৭ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।