জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ আবারো দশের নিচে নেমেছে। আরটিপিসিআর টেস্টে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১৩৩ ব্যক্তির শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ৮ দশমিক ৮১ শতাংশ। এ সময় করোনায় আক্রান্ত ৪ রোগির মৃত্যু হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাটস্থ বিআইটিআইডি, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর দশটি ল্যাবে গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৫০৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন পজিটিভ ১৩৩ জনের মধ্যে শহরের ৮৭ ও ৯ উপজেলার ৪৬ জন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ৪৫২ জন। এর মধ্যে শহরের ৭২ হাজার ৮৯১ ও গ্রামের ২৭ হাজার ৫৬১ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে সর্বোচ্চ ১৬, রাউজানে ৯, ফটিকছড়ি ও রাঙ্গুনিয়ায় ৫ জন করে, বোয়ালখালীতে ৪, সীতাকু-ে ৩, চন্দনাইশে ২ জন এবং সন্দ্বীপ ও পটিয়ায় একজন করে রয়েছেন।
গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামের দু’জন করে মারা যান। মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ২৫৯ জন। এতে শহরের ৭শ’ জন ও গ্রামের ৫৫৯ জন।
উল্লেখ্য, জুলাই ও আগস্ট মাসের পর চলতি মাসের শুরু থেকে করোনাভাইরাসের আগ্রাসী রূপ কিছুটা নমনীয় হলেও সংক্রমণ হার দ্রুত ওঠানামা করছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৮ জনের নতুন সংক্রমণ ও ১২ দশমিক ৬২ শতাংশ আক্রান্তের হার ওঠেছিল। আগের দিন ৫ সেপ্টেম্বর সংক্রমণ হার ৬ শতাংশে নেমে এসেছিল। এদিন ৭৬ জন আক্রান্ত ধরা পড়ে। হার ছিল ৬ দশমিক ০৭ শতাংশ। ৫ করোনা রোগির মৃত্যু হয়। এদিকে, গতকালের ৪ জনসহ এ মাসের প্রথম সাত দিনে ২৭ করোনা রোগির মৃত্যু হয়।
এদিকে, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণ হারের নি¤œমুখী প্রবণতা ধরে রাখতে হলে সাধারণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুশীলন করতেই হবে। এখন লকডাউন পরবর্তী সংক্রমণ কমে আসায় মানুষের মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপারে ঢিলেঢালা ভাব দেখা যাচ্ছে। জনগণকে সতর্ক করে দিয়ে তারা বলছেন, এ দেশে অন্তত দু’বার করোনার ভয়াল ছোবল মানুষ দেখেছে। ফলে এ অভিজ্ঞতা থেকে করোনাকে আর কোনো ভাবে আগ্রাসী হতে দেয়া যাবে না।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৪৮০ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২১ ও গ্রামের ৭ জনের দেহে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২১৩ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ২১ ও গ্রামের ৯ জন করোনা শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৪৬টি নমুনায় শহরের ১৫ ও গ্রামের ১৪টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৩ জন ও গ্রামের ১২ জনের দেহে করোনার জীবাণু থাকার প্রমাণ মিলে। ২৫ জনের এন্টিজেন টেস্টে একজনও সংক্রমিত পাওয়া যায়নি। নগরীর বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ৯টি নমুনায় গ্রামের ১টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে ৩৭৫টি নমুনার মধ্যে শহরের ৫টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৪৯টি নমুনার মধ্যে শহরের ৫টি, মা ও শিশু হাসপাতালে ২৬ নমুনায় শহর ও গ্রামের একটি করে, মেডিকেল সেন্টারে ১৮ নমুনায় শহরের ৪টি এবং এপিক হেলথ কেয়ার হাসপাতালে ৭৭ নমুনায় গ্রামের ২টিসহ ১৪টিতে ভাইরাসের উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। নগরীর ল্যাব এইডে ২টি এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো ৩টি নমুনারই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ, চমেকে ১৪ দশমিক ০৮, সিভাসু’তে ১৯ দশমিক ৮৬, চবি’তে ১৭ দশমিক ৪৪, এন্টিজেন টেস্টে ০ শতাংশ, আরটিআরএল-এ ১১ দশমিক ১১, শেভরনে ১ দশমিক ৩৩, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১০ দশমিক ২০, মা ও শিশু হাসপাতালে ৭ দশমিক ৬৯, মেডিকেল সেন্টারে ২২ দশমিক ২২, এপিক হেলথ কেয়ারে ১৮ দশমিক ১৮ এবং ল্যাব এইড ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ০ শতাংশ। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।