জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হার আবার ২ শতাংশের নীচে নেমেছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২৮ জনের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এ সময়ে আক্রান্ত কোনো রোগির মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাটস্থ বিআইটিআইডি, নগরীর বারো ল্যাবরেটরি ও এন্টিজেন টেস্টে গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৭৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে নতুন ২৮ জন পজিটিভ পাওয়া যায়। এর মধ্যে শহরের ২০ ও সাত উপজেলার ৮ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে মিরসরাইয়ে ২ জন এবং রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, হাটহাজারী, সন্দ্বীপ, পটিয়া ও চন্দনাইশে একজন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ২৬ হাজার ৪৭৫ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ৯১ হাজার ৯৮২ ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৪৯৩ জন। করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে গতকাল শহর ও গ্রামে কেউ মারা যায়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬২ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭৩৪ ও গ্রামের ৬২৮ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৩৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। এতে শহরের ১২ ও গ্রামের ২ জন পজিটিভ হন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৭৫ জনের নমুনার মধ্যে শহরের একজন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় ল্যাবে ১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে গ্রামের ১ জন জীবাণুবাহক বলে চিহ্নিত হন। নগরীর বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত গ্রামের ২টি নমুনারই পজিটিভ রেজাল্ট আসে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে গতকাল ৪ জনের এন্টিজেন টেস্ট করানো হয়। এতে গ্রামের একজন করোনায় আক্রান্ত বলে জানানো হয়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ২৮১ টি নমুনায় শহরের ৩ ও গ্রামের একটিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৭২ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে শহরের ১ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়ে। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১৯০টি নমুনায় শহরের একটিতে জীবাণুর উপস্থিতি মিলে। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ২০৬ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ১ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। এপিক হেলথ কেয়ারে ১০১টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের একটিতে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। ল্যাব এইডে ৩ টি নমুনার একটিতেও সংক্রমণ শনাক্ত হয়নি। মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১২ জনের নমুনায় সবক’টির নেগেটিভ রেজাল্ট আসে। এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ৩০২টি নমুনা পরীক্ষা করলে গ্রামের একটিতেও জীবাণু থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ৫০ জনের নমুনায় গ্রামের একজনের শরীরে ভাইরাস চিহ্নিত হয়।
এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস হাসপাতাল ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের একটি নমুনাও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পরীক্ষার জন্য যায়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ৪ দশমিক ০৩ শতাংশ, চমেকহা’য় ১ দশমিক ৩৩, চবি’তে ৯ দশমিক ০৯, আরটিআরএলে শতভাগ, এন্টিজেন টেস্টে ২৫, শেভরনে ১ দশমিক ৪২, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ০ দশমিক ৫৮, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ০ দশমিক ৫২, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ০ দশমিক ৪৮, এপিক হেলথ কেয়ারে ০ দশমিক ৯৯ ও এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ২ শতাংশ এবং ল্যাব এইড, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ০ শতাংশ। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।